২.১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ মিটিয়ে দিয়েছি। এমনটাই দাবি আদানি গোষ্ঠীর। বিনিয়োগকারীদের আশ্বাস ফিরে পেতে আগেভাগেই ঋণের কিস্তি মিটিয়ে দিচ্ছে সংস্থা। একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে সংস্থার এমন কাজের খবর প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এবার তার প্রেক্ষিতেই আদানি গ্রুপের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাইল স্টক এক্সচেঞ্জ BSE এবং NSE।
বিলিয়ন ডলারের ঋণ পরিশোধের পর আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে পতন কিছুটা আটকে দেওয়া গিয়েছিল। সেই সঙ্গে নতুন মোটা বিনিয়োগের ফলেও শেয়ার কিছুটা চাঙ্গা হয়েছিল। কিন্তু কয়েকদিন কাটতে না কাটতেই অবস্থা আগের মতোই খারাপ। গত ২৪ জানুয়ারি আদানি গোষ্ঠী নিয়ে একটি নেতিবাচক রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। আরও পড়ুন: Hindenburg Effect: প্রতি সপ্তাহে ৩,০০০ কোটি টাকা করে হারিয়েছেন গৌতম আদানি!
The Ken-এর এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আদানি গ্রুপ আংশিক ঋণ পরিশোধের মাধ্যমে ঋণের পরিমাণ কমিয়েছে, যাতে তাদের আরও শেয়ার বন্ধক রাখতে না হয়। অর্থাৎ ব্যাঙ্কের কোনওরকম পদক্ষেপ এড়াতেই সংস্থা এই কাজ করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। এতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে, আদানি গ্রুপের প্রিপেমেন্টের ঘোষণার পরে, ব্যাঙ্কগুলি শুধুমাত্র আদানি বন্দরের বন্ধক রাখা শেয়ারগুলি ছেড়ে দিয়েছে। প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে, ব্যাঙ্ক আদানি গ্রিন এনার্জি এবং আদানি ট্রান্সমিশনের বন্ধকী শেয়ার এখনও ছাড়েনি। এদিকে ঋণ পরিশোধের ঘোষণার প্রায় এক মাস হয়ে গিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাঙ্ক সাধারণত ঋণ পরিশোধের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধক রাখা শেয়ার ছেড়ে দেয়।
এনএসই এবং বিএসই মঙ্গলবার আদানি গোষ্ঠীর কাছে এই বিষয়ে জবাব চেয়েছে। সমালোচকদের মতে, এর ফলে আদতে আদানি গোষ্ঠীর ঋণ পরিশোধের দাবিকেই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। ঋণ পরিশোধ করা সত্ত্বেও কেন তাদের হাতে বন্ধকী শেয়ার ফিরল না? উঠছে প্রশ্ন। সোমবার আদানি গোষ্ঠীর স্টকের বাজার মূলধন ৯.৩৯ লক্ষ কোটি টাকা থেকে ৮.৮৯ লক্ষ কোটিতে নেমে এসেছে। এর ফলে মাত্র একদিনে ৫০,১৭০ কোটি টাকা কার্যত হাওয়া হয়ে গিয়েছে। আরও পড়ুন: হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট নিয়ে পরোয়া নেই, আরও বিমানবন্দর কেনার প্ল্যান করছে আদানিরা
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup