ঘুষকাণ্ড নিয়ে আদানির বিরুদ্ধে সরব বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লক। কংগ্রেসের পাশাপাশি তাদের সহযোগী দলগুলিও আদানিকে তোপ দেগেছে। এরই মাঝে এবার কেরলের বাম সরকার সেই রাজ্যের বন্দর নিয়ে আদানির সঙ্গে সাপ্লিমেন্টারি চুক্তি সই করল। উল্লেখ্য, কেরলের ভিজিনজামে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে একটি বন্দর তৈরি করা হচ্ছে। সেই বন্দর তৈরির প্রোজেক্টে খরচ হবে মোট ৭৭০০ কোটি টাকা। এই বন্দর নিয়ে নতুন চুক্তির মাধ্যমে কেরল সরকারের মুনাফার অঙ্ক অনেকটাই বেড়ে গেল একলাফে। (আরও পড়ুন: জেলে ভরেই খান্ত হল না বাংলাদেশ, চিন্ময় প্রভুর বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপের ঘোষণা)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ওঠে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ, মুখ খুলল সেই সেনা
রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, এখন কেরলের এই বন্দরটিতে ২০২৮ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কন্টেনার ওঠা নামার কাজ শুরু হয়ে যাবে। এই আবহে কেরলের বন্দর মন্ত্রী ভিএন বাসবন এই নয়া সাপ্লিমেন্টারি চুক্তি নিয়ে বলেন, '২০২৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বন্দরের সম্প্রসারণের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। এই আবহে আগে যেখানে মনে করা হচ্ছিল যে এই বন্দর থেকে ৩৬ বছরে উপার্জন হবে ৫৪,৭৫০ কোটি টাকা। এখন মনে করা হচ্ছে, সেই উপার্জনের অঙ্ক বেড়ে ২,১৫,০০ কোটি টাকা হবে। এই আবহে এই বন্দর থেকে সরকারের আয়ের ভাগ ৬৩০০ কোটি থেকে বেড়ে ৩৫,০০০ কোটি টাকা করা হয়েছে।' (আরও পড়ুন: 'ভারতের কনস্যুলার ক্যাম্পগুলিকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না বলে জানিয়েছে কানাডা')
নয়া চুক্তি অনুযায়ী, এই বন্দর তৈরিতে বিলম্ব ঘটলেও কেল সরকার ২০৩৪ সাল থেকেই তাদের আয়ের ভাগ পেতে শুরু করে দেবে। এর আগের চুক্তিতে বলা হয়েছিল, বন্দরের কাজ পিছিয়ে গেলে সরকারের পকেটে আয়ের ভা ঢুকতে ঢুকতে ২০৩৯ সাল হয়ে যেতে পারে। এদিকে এই নয়া চুক্তির ফলে কেরল সরকার বন্দরের চারটি ফেজের থেকেই লভ্যাংশ পাবে আদানির থেকে। এর আগের চুক্তিতে বলা হয়েছিল, শুধুমাত্র বন্দরের প্রথম ফেজ থেকেই সরকারকে লভ্যাংশ দেওয়া হবে।
এদিকে এই বন্দরের ফলে কেরলের পরোক্ষ আয়ও বাড়তে চলেছে। চুক্তির মেয়াদকালে এই বন্দর থেকেই কেরলের জিএসটি বাবদ আয় হতে পারে ২৯,০০০ কোটি। এদিকে প্রাথমিক ভাবে এই বন্দর থেকে বার্ষিক ১০ লাখ কন্টেনার ওঠা নামার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছিল। তবে এখন এই বন্দরে বার্ষিক ৪৫ লাখ কন্টেনার ওঠা নামা করতে পারবে বলে জানা যাচ্ছে। এই আবহে দক্ষিণ ভারতের সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক বন্দর হয়ে উঠবে কেরলের এই ভিজিনজাম। এদিকে নয়া চুক্তির ফলে কেরল সরকারের ওপর 'চাপ' কমতে চলেছে। এর আগে এই পোর্ট তৈরির জন্যে ৪০৮.৯ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল কেরল সরকারের। তবে নয়া চুক্তির ফলে কেরল সরকারকে দিতে হবে ৩৬৫.১০ কোটি টাকা।