আদানি পাওয়ার এবং তার বেশ কয়েকজন আধিকারিক কোম্পানি আইন, ২০১৩ লঙ্ঘন করেছেন। চুক্তির রেজিস্টারে সম্পর্কিত-পক্ষের লেনদেন এবং চুক্তি সম্পূর্ণভাবে উল্লেখ করা হয়নি। আর সেই কারণেই তাদের জন্য জরিমানা ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানিজ (RoC), গুজরাট এই বিষয়ে জানায়।
আদানি পাওয়ারের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি, ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজেশ আদানি এবং ডিরেক্টর বিনীত এস জৈন, প্রত্যেককে ৭৫,০০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আরও পড়ুন: Adani Power vs Tata Power Stock Market: Adani নাকি Tata? কোন গ্রুপের বৈদ্যুতিক শেয়ারে টাকা ঢালবেন? জানালেন বিশেষজ্ঞরা
রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানিজ জানিয়েছে, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে আদানি পাওয়ার রিলেটেড পার্টির মধ্যে লেনদেন করেছে। কিন্তু চুক্তির রেজিস্টারে সেগুলি প্রকাশ করা হয়নি। এটি কোম্পানি আইন ২০১৩-র ১৮৯ ধারার বিরোধী।
ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে আদানি পাওয়ারের এক মুখপাত্র অবশ্য জানিয়েছেন, ‘সমস্ত রিলেটেড-পার্টি লেনদেনের উল্লেখ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, ব্যবসার কার্যক্রমের সমসাময়িক ভিত্তিতে করা হয়েছিল। সেই কারণে এটি কোম্পানি আইন, ২০১৩-র ১৮৮ নম্বর ধারার আওতায় পড়েনি।’
আদানি মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত কারণ ছাড়াই পরিচালকদের উপর এই জরিমানা আরোপকে তাঁরা পাল্টা চ্যালেঞ্জ করবেন।
কোম্পানি আইনের ২০৬(৪) নম্বর ধারার অধীনে ২০১৮ সালের এপ্রিলে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক এই বিষে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল।
জরিমানার অঙ্ক নির্ধারণ করার সময়, বিচারকারী কর্তৃপক্ষ রায় দেয়, প্রাপ্ত অন্যায্য সুযোগ-সুবিধা বা বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা কঠিন।
প্রেজেন্টিং অফিসার(যিনি বিচারক কর্তৃপক্ষের কাছে মামলার প্রমাণ উপস্থাপন করেন) জানান, প্রত্যেক পরিচালককে প্রতিটি অর্থবর্ষের জন্য আলাদাভাবে জরিমানা করা যেতে পারে। আরও পড়ুন: Adani-Hindenburg: ৬ মাস নয়, SEBI-কে তদন্তের জন্য আরও ৩ মাস সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট
১৬ মে প্রকাশিত আদেশের ৯০ দিনের মধ্যেই তাঁদের এই জরিমানা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup