পাহাড়প্রমাণ বকেয়া।
আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড লিমিটেড বাংলাদেশে ইলেকট্রিক সাপ্লাই দেওয়া কমিয়ে দিল। মূলত বিল না দেওয়ার জন্যই এই ইলেকট্রিক সাপ্লাই কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের পিএলসি ডেটা অনুসারে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে আচমকাই আউটপুট কমিয়ে দেয়। এবার বাংলাদেশে মাত্র ৭০০ মেগাওয়াট সাপ্লাই হচ্ছে বলে খবর। এর জেরে বাংলাদেশে ব্যপক বিদ্যুতের ঘাটতি হয়েছে বলে খবর। এমনকী সেই ঘাটতি ১৬০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত হয়ে যায় খবর।
এদিকে গত ২৭শে অক্টোবর আদানি বাংলাদেশের পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের কাছে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। ৩০শে অক্টোবরের মধ্যে যাবতীয় বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। না হলে ফের বিদ্যুতের সাপ্লাই বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছিল। সেই শর্ত না মানলে বড় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আগাম জানানো হয়েছিল। ডেইলি স্টারের রিপোর্টে তেমনটাই উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছিল এই ডেডলাইন এগিয়ে আসছে। প্রায় ৮৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বকেয়া রয়েছে। সেই বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই বকেয়া মেটানো হয়নি। তার জেরেই এবার বিদ্যুতের সাপ্লাই কমিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হল বলে খবর।
ডেইলি স্টারকে দেওয়া বিবৃতিতে পিডিবি অফিসিয়াল জানিয়েছে, সপ্তাহে প্রায় ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আমরা মিটিয়ে দিয়েছি। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে মিটিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে বলা হয়েছিল কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি ব্যাঙ্কের ডলারের ঘাটতির জেরে এটা করা যায়নি।
এদিকে ওই চিঠিতে বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে নির্দিষ্ট বক্তব্য জানানো হয়েছিল। এর জেরে বিদ্যুতের সাপ্লাইতে যে বড় প্রভাব পড়বে সেটাও বলা হয়েছিল। এমনকী সেই অর্থ মিটিয়ে দেওয়া না হলে আদানির কাজ করতে সমস্যা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছিল। কারণ যারা কয়লা সাপ্লাই করে তাদের বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার একটা বিষয় রয়েছে। কারণ পাহাড় প্রমাণ বকেয়া না মেটালে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় প্রভাব পড়তে পারে। সেটা আগাম জানিয়ে দিয়েছিল আদানি।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ সাপ্লাই করা হত তার অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। বকেয়া বিদ্যুৎ বিল না মেটানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদানি। এনিয়ে আগাম ডেডলাইন ঠিক করে দিয়েছিল তারা। এর জেরে বাংলাদেশে প্রায় ১৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুতের ঘাটতি হতে পারে। ৩০শে অক্টোবরের মধ্য়ে বিদ্যুতের বকেয়া বিল মেটানোর জন্য় অনুরোধ করে বাংলাদেশের বর্তমান বিদ্যুৎ সচিবকে চিঠি দিয়েছিলেন আদানি।