শিল্পপতি, ধনকুবের গৌতম আদানি বৃহস্পতিবার দেখা করলেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে তেমনটাই খবর। শরদ পাওয়ারের বাড়িতে গিয়ে তিনি দেখা করেন বলে খবর। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক তাঁরা কথাবার্তা বলেন বলে খবর।
এদিকে শরদ পাওয়ার গত সপ্তাহেই আদানিকে নিয়ে তাঁর আগের মন্তব্য থেকে কিছুটা সরে আসেন। সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে আদানির বিরুদ্ধে তদন্ত করা দরকার বলে তিনি আগে মন্তব্য করেছিলেন। তবে পরে তিনি জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলি যে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত চেয়েছে তাতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই।
পাওয়ার জানিয়েছিলেন, আমি বিশ্বাস করি এনিয়ে একটা তদন্ত করা দরকার। তবে একটা যৌথ সংসদীয় কমিটিও তৈরি করা দরকার। তবে রাজনৈতিক দলগুলির শক্তি অনুসারে এই সংসদীয় কমিটি গড়া দরকার। যদি ২১জনের জেপিসি তৈরি হয় তবে তার মধ্যে ১৪-১৫জনই বিজেপির হয়ে যাবে। কারণ তাদের সংসদের সংখ্যাই ২০০রবেশি। সেক্ষেত্রে ৬-৭জন থাকবেন বিরোধীদের থেকে। এখানেই প্রশ্ন এই ৬জনের মতামত কতটা গুরুত্ব পাবে কমিটিতে?
তা সত্ত্বেও যদি বিরোধীরা চান সংসদীয় কমিটি তৈরি হোক তবে তা নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। জানিয়েছিলেন শরদ পাওয়ার।
এদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বার বারই অভিযোগ তুলেছিলেন আদানির সঙ্গে বিজেপির অশুভ যোগ রয়েছে। এনিয়ে তদন্তের দাবি তিনি তুলেছিলেন।
তবে এই তদন্ত নিয়ে শরদ পাওয়ার ও কংগ্রেসের মধ্যে কিছুটা মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল। তিনি আগেই বলেছিলেন, এই তদন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিত প্যানেলের মাধ্যমে করাটা বেশি যুক্তিযুক্ত। কারণ এই সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে আদৌ লাভের লাভ কিছু হবে না। এখানে বিরোধীদের মতামতের কোনও গুরুত্ব থাকবে না।
তবে শরদ পাওয়ারের বক্তব্যের সঙ্গে একমত হতে পারেননি মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতৃত্ব। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতা পৃথ্বীরাজ চৌহান জানিয়েছিলেন শরদ পাওয়ার যে দাবি করছেন তা একেবারে ভিত্তিহীন।
এদিকে এর আগে শরদ পাওয়ার এনডিটিভিতে একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, আদানিকে টার্গেট করে এটা করা হয়েছিল। পাশাপাশি সেই সাক্ষাৎকারে তিনি কিছুটা হলেও আদানির পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে অনেকে মনে করেন।
তবে এবার শরদ পাওয়ারের বাড়িতে আদানি। কী আলোচনা হল তাঁদের মধ্যে তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।