'আমার স্ত্রী অসাধারণ, আমি ওঁর দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালোবাসি', লারসেন অ্যান্ড টুব্রোর সিইও-র '৯০ ঘণ্টা কাজ' সংক্রান্ত বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এমনই বলেছিলেন শিল্পপতি আনন্দ মহিন্দ্রা। আর এবার এই বিতর্কে মুখ খুললেন সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা। 'ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্সের' পক্ষে সওয়াল করে আনন্দ মহিন্দ্রাকে সমর্থন জানান আদর। পুনাওয়ালা বলেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালোবাসেন। (আরও পড়ুন: চারদিন পরও প্রস্রাব হয়নি, অভিযোগ প্রসূতির মায়ের, SSKM-এ কেমন আছেন ৩ রোগী?)
আরও পড়ুন: সীমান্তে কাঁটাতারে এবার বাধা এপারের গ্রামবাসীরাই, BSF-এর সঙ্গে কথা MLA-র
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আনন্দ মহিন্দ্রাকে ট্যাগ করে আদর পুনাওয়ালা লেখেন, 'আপনি ঠিক বলেছেন আনন্দ মহিন্দ্রা। আমার স্ত্রী নাতাশা পুনাওয়ালা তো রবিবার আমার দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালোবাসে। ও মনে করে আমি অসাধারণ। সবসময়ই কাজের সময়ের থেকে গুণগত মান বেশি গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত। ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্স থাকা উচিত।' এর আগে আনন্দ মহিন্দ্রা বলেছিলেন, 'ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজের অমানবিক তত্ত্বে মোটেও বিশ্বাসী নই আমি। আমি এক্ষেত্রে কাজের সময় নয়, কাজের গুণমানকে গুরুত্ব দিই। আপনি আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন, আমার কাজের মান কেমন। আমি কত ঘণ্টা কাজ করি, সেই প্রশ্ন আমাকে করবেন না।' এদিকে তিনি আরও বলেছিলেন, 'আমি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ নেই কারণ আমি একাকী। আমার স্ত্রী অসাধারণ। এবং আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালোবাসি!' (আরও পড়ুন: চুপি চুপি থাকত… কারও সাথে তেমন কথা বলত না! সোনারপুর থেকে গ্রেফতার ৫ বাংলাদেশি)
আরও পড়ুন: কেরলে ৬ বছর ধরে ৬০ জন ধর্ষণ করেছিল নাবালিকা ক্রীড়াবিদকে! পুলিশের জালে ২৮
আরও পড়ুন: নব নালন্দা স্কুলে দুর্ঘটনায় আহত একাধিক পড়ুয়া, একজনের মাথায় পড়ল ৪০টা সেলাই
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সাক্ষাৎ চলাকালীন সুব্রহ্মণ্যনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেন লার্সেন অ্য়ান্ড টুব্রোর মতো মাল্টি-বিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি সংস্থা এখনও কর্মীদের শনিবার কাজ করাচ্ছে? তার জবাবে সুব্রহ্মণ্যন নাকি বলেছিলেন, 'আমার এটা ভেবে অনুশোচনা হচ্ছে যে আমি আপনাদের দিয়ে রবিবারও কাজ করাতে পারছি না। আমি যদি আপনাদের দিয়ে রবিবারও কাজ করাতে পারতাম, তাহলে আমি খুশি হতাম। কারণ, আমি রবিবার কাজ করি। বাড়িতে বসে আপনারা কী করবেন? কতক্ষণ নিজের বউয়ের দিকে তাকিয়ে থাকবেন? ধুর, অফিসে চলে যান। কাজ করুন।' এরপরই সুব্রহ্মণ্যন তাঁর এক অভিজ্ঞতা কর্মীদের সঙ্গে শেয়ার করে বলেন, 'একবার এক চিনা ব্যক্তির সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। তিনি দাবি করেছিলেন, চিন অনায়াসেই আমেরিকাকে হারিয়ে দিতে পারে। কারণ, চিনারা সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ করেন। সেখানে মার্কিনিরা সপ্তাহে মাত্র ৫০ ঘণ্টা কাজ করেন। তাই আপনাকে যদি বিশ্বের সেরা হতে হয়, তাহলে প্রত্যেক সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা করে কাজ করতেই হবে। আপনারা সেটা শুরু করে দিন।' পরে সুব্রহ্মণ্যনের এই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্কের ঝড় ওঠে। এবং অনেক শিল্পপতি এই নিয়ে নিজেদের মতামত প্রকাশ করেন।