গত বছর থেকেই চলছিল আলোচনা। সেইমতো এবার বাংলাদেশকে ৬০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করল এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (এডিবি)। বাংলাদেশের কাঠামোগত সংস্কারকে সমর্থন করার লক্ষ্যে এই ঋণ দেওয়া হবে। এই অর্থ বাংলাদেশকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ, সরকারি বিনিয়োগ প্রকল্পের দক্ষতা বৃদ্ধি, বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করা, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সংস্কার এবং স্বচ্ছতা ও শাসন ব্যবস্থা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: ‘পাসপোর্ট বাতিল হলে ভিসার ইস্যু থাকে না’, শেখ হাসিনাকে নিয়ে বক্তব্য ঢাকার-Report
এডিবির আঞ্চলিক প্রধান অর্থনীতিবিদ আমিনুর রহমান জানান, এই ঋণ বাংলাদেশের উন্নয়নে আর্থিক চাহিদা পূরণ করবে। বিশেষ করে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এই উন্নয়নের জন্য অর্থ প্রয়োজন ছিল। তিনি বলেন, আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য সংস্থাগুলির সহযোগিতায় এডিবি ঋণ দানে এগিয়ে এসেছে। এই অর্থে গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত পরিবর্তনগুলি আরও সহজ হবে। পাশাপাশি সরকারি ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রচার করা হবে। এর লক্ষ্য বাণিজ্য, ব্যয় এবং রফতানি, বৈচিত্র্যকে উৎসাহিত করা।
উল্লেখ্য, এর আগে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরও গতিশীল বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য ঋণ দিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। সম্প্রতি বাজেট সহায়তার পাশাপাশি, বিশ্ব ব্যাঙ্ক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি খাতে ৩৭৯ মিলিয়ন এবং চট্টগ্রামে জল সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য ২৮০ মিলিয়ন ডলার প্রকল্প সহায়তার অনুমোদন দিয়েছে। গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের সঙ্গে ‘স্ট্রেংথেনিং ইকোনমিক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স প্রোগ্রাম’ শীর্ষক কর্মসূচির জন্য ৬০০ মিলিয়ন ডলারের একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অর্থ বিভাগের উদ্যোগে এ কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছিল। এর পরের দিনই গত ১৯ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাঙ্ক বাংলাদেশকে ৫০০ মিলিয়ন বাজেট সহায়তার অনুমোদন করে।
উল্লেখ্য, গত ৫ অগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরেই চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ। তার ওপর সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি এবং নতুন করে অস্থির হয়ে ওঠার কারণে দেশটিতে অর্থনৈতিক দুরবস্থা চরমে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে নতুন অন্তবর্তী সরকার। এই অবস্থায় প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ- আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, এডিবি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের কাছ আগেই ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য চেয়েছিল। সব মিলিয়ে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে আরও কয়েক বিলিয়ন ডলার চেয়েছে।