জোমাটো, সুইগি, ওলা, উবার অত্যন্ত জনপ্রিয় অ্য়াপ। কোনওটা লাগে ডেলিভারির জন্য, কোনওটা লাগে গাড়ি ভাড়ার জন্য। তবে এবার কর্নাটক সরকার এই লেনদেনের ক্ষেত্রে নতুন ফি ধার্য করেছে বলে খবর।
রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে এই যে অতিরিক্ত টাকা সরকার আদায় করবে সেটা কর্মীদের কল্যাণে ব্যবহার করা হবে। কর্নাটকের শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ লাদ জানিয়েছেন, কর্নাটকের শ্রমমন্ত্রক প্রতিটি লেনদেনের ক্ষেত্রে সেস যুক্ত করছে। জোমাটো, ডুনজো, সুইগি, জেপটো, ওলা সহ অন্যান্যর ক্ষেত্রে এই এই সেস যুক্ত করা হবে।
এই যে অতিরিক্ত টাকা যেটা আদায় করা হবে সেটা পুরোপুরি কর্মীদের কল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হবে। তবে এই চার্জটা কোনওভাবেই যে পণ্য কেনা হচ্ছে তার উপর ধার্য করা হবে না। এটা পুরোপুরি সেই পণ্য পরিবহণের উপর ধার্য করা হবে।
এদিকে মানি কন্ট্রোলের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, এই অতিরিক্ত অর্থ সেটা একটি ওয়েলফেয়ার বোর্ডের কাছে জমা পড়বে। সেটা থেকে ওই কর্মীদের কল্যাণের কাজে ব্যয় করা হবে। এই ফি টা সমস্ত গ্রাহকদের উপর আরোপ করা হবে যারা মূলত ওই সমস্ত অ্য়াপ যেমন ডুনজো, Rapido, পোর্টার, নম্ম যাত্রী সহ অন্যান্য় অ্যাপ ব্যবহার করবেন। তবে এই সেস নিয়ে অতিরিক্ত ৎ কিছু জানা যায়নি। সেক্ষেত্রে কর্নাটকে এই ধরনের পরিষেবার দাম কিছুটা বেশি হতে পারে।
এই ফি ধার্য করার আগে সরকারের তরফে বিভিন্ন অংশীদারীর সঙ্গে মিটিং করা হয়েছিল। বিভিন্ন অ্য়াপের সংস্থা, কর্মী ইউনিয়ন, শিল্প সংস্থা সহ বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে মিটিং করা হয়েছিল। তারপরই এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূলত কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা যাতে বজায় থাকে সেটা নিশ্চিত করার জন্য় এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শ্রমমন্ত্রকের অফিসাররা জানিয়েছেন, বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অন্তত ৩২ বার মিটিং করেছিলেন তারা। সরকারের বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে তাদের মিটিং হয়েছিল। সব মিলিয়ে সকলের সম্মতি পাওয়ার পরেই এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
এদিকে এর জেরে যারা সুইগি বা জোমাটোর মতো সংস্থায় কাজ করেন, যাদের এতদিন ধরে সামাজিক সুরক্ষা বলে কিছু ছিল না তাদের ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হবে। সেকারণেই এই নয়া ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে। যারা খাবার বয়ে আনেন, কিংবা পৌঁছে দেন গন্তব্যে তাঁদের অধিকারটা অন্তত বজায় থাকবে।