বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Adhir Choudhary: ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্য নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি বিজেপির, ক্ষমা চাইতে নারাজ অধীর

Adhir Choudhary: ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্য নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি বিজেপির, ক্ষমা চাইতে নারাজ অধীর

অধীর চৌধুরী।

উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ছাড়াও লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং বিজেপির অন্যান্য সাংসদরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার পর থেকেই সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস ক্রমাগত তাঁকে আক্রমণ করে আসছেন।'

সদ্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। আর এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলে মন্তব্য করে তুমুল বিতর্কের মধ্যে জড়ালেন কংগ্রেস সংসদ অধীর চৌধুরী। তাঁর এই মন্তব্যের জেরে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে লোকসভা ও রাজ্যসভা। অধিবেশন চলাকালীন শুরু হয় তুমুল হট্টগোল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, স্মৃতি ইরানি থেকে শুরু করে বিজেপি সংসদরা অধীর চৌধুরীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তবে অধীর চৌধুরীর স্পষ্ট কথা, তিনি মুখ ফসকে একথা বলে ফেলেছিলেন এনিয়ে ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।

আজ প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে অধীরের মন্তব্যের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হন বিজেপির সংসদরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ছাড়াও লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং বিজেপির অন্যান্য সাংসদরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার পর থেকেই সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস ক্রমাগত তাঁকে আক্রমণ করে আসছেন। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পরেও তা বন্ধ হয়নি। আমাদের দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

তবে রাষ্ট্রপতিকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলা হয়েছে বলে স্বীকার করলেও ক্ষমা চাইতে মোটেও রাজি নন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘একজন সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় আমি মুখ ফসকে রাষ্ট্রপতির জায়গায় রাষ্ট্রপত্নী বলে ফেলেছিলাম। ইচ্ছাকৃতভাবে বলিনি। আর সেটা নিয়ে এখন জলখোলা করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি যে কোন সম্প্রদায়ের হোক না কেন তিনি হলেন আমাদের রাষ্ট্রপতি। আর আমরা এই পদকে সম্মান করি। এটা এত বড় ইস্যু করা হবে আগে জানলে আমি ওই সাংবাদিককে ডেকে বলতাম যে এটা মুখ ফসকে বেরিয়ে গিয়েছে।’

বন্ধ করুন