অন্তিম চরণে জম্মু ও কাশ্মীরে প্রবেশ করেছে রাহুল গান্ধীর 'ভারত জোড়ো' যাত্রা। আগামী ৩১ জানুয়ারি শ্রীনগরে শেষ হওয়ার কথা এই পদযাত্রা। বিজেপি বিরোধী মোট ২১টি দলকে সেদিন যাত্রায় যোগ দেওয়ার আহ্বান করেছে কংগ্রেস। সেই তালিকায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। তবে তৃণমূল কংগ্রেস সেই যাত্রায় যোগ দেবে না বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী আক্রমণ শানিয়েছেন মমতাকে। মোদী-মমতা বোঝাপড়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সেই বোঝাপড়াকে 'মোমো' বলে আখ্যা দেন তিনি। (আরও পড়ুন: জোড়া বিস্ফোরণের পরও জম্মুতে জারি থাকল রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়া যাত্রা)
অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে 'মো-মো' বোঝাপড়া রয়েছে। মমতাজি এমন কিছু করতে পারবেন না যা মোদীজিকে বিরক্ত করবে। মোদীজি যখন বলেন- ভারত 'কংগ্রেস-মুক্ত', তখন মমতাজিও বলেন, বাংলা থেকে কংগ্রেসকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। অনেক নেতা ভারত জোড়ো যাত্রার প্রশংসা করছেন। অভিনেতা রাজনীতিবিদ কমল হাসান, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শরদ পাওয়ার সহ অন্যান্য নেতারা কংগ্রেসের পদযাত্রাকে সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু মমতা এই যাত্রার প্রশংসা করবেন না।'
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারানোর পর থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। এদিকে উত্তরপ্রদেশেও অখিলেশ যাদব, মায়াবতীরা কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাতে নারাজ। অপরদিকে দক্ষিণী রাজ্য তেলাঙ্গানায় কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের বিআরএস-এর সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো নয় হাত শিবিরের। তবে এই সব তিক্ততা ভুলে বিজেপির সঙ্গে এক মঞ্চে একত্রিত হতে এই সব দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কংগ্রেস। তবে পঞ্জাবে কংগ্রেসকে হারিয়ে সরকার গঠন করা আম আদমি পার্টির সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস ছাড়া এখন একমাত্র অ-বিজেপি দল হিসেবে দু'টি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে আম আদমি পার্টিই। এই আবহে কংগ্রেসের কর্তৃত্ব মানতে নারাজ অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিকে মমতাও রাহুলকে নেতা হিসেবে মানতে নারাজ। তবে রাহুলের পদযাত্রার প্রশংসা শোনা গিয়েছে তৃণমূলের কিছু সাংসদ, বিধায়কদের মুখে। তবে সেই সব মন্তব্য 'দলীয় মত' নয় বলে জানানো হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের তরফে।
এদিকে কংগ্রেস চাইছে, বিজেপি বিরোধী সকল দলকে রাহুলের পদাত্রার মঞ্চে এনে দাঁড় করাতে। তাতে রাহুলের নেতৃত্বে 'সিলমোহর' পড়বে। তবে এর আগে উত্তরপ্রদেশে ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নিতে অখিলেশ, মায়াবতীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল হাত শিবির। তবে সেই আমন্ত্রণ এড়িয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের জোটসঙ্গী সিপিএম। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বরাবরই সুর চড়িয়ে এসেছে তারা। এদিকে বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে মেঘালয়, ত্রিপুরা, অসমে নিজেদের পায়ের তলার জমি শক্ত করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক করতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। এই পরিস্থিতিতে রাহুলের যাত্রার সমাপনী অনুষ্ঠানে মমতার দলের কেউ যাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup