দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অ্যাড হক শিক্ষকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হিন্দু কলেজ থেকে তাঁকে সম্প্রতি সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই শিক্ষকের দেহ উদ্ধার করা হল। আউটার দিল্লির রানিবাগ এলাকায় তার দেহ পাওয়া গিয়েছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ একথা জানিয়েছে। মৃত শিক্ষকের নাম সমরবীর। বয়স মাত্র ৩৩ বছর। রাজস্থানের বরন জেলার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। একটি ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ পাওয়া গিয়েছে। তিনি তার জাঠতুতো ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন। সেই সময় ভাই বাড়ি ছিলেন না। ঘর থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তবে তার ভাই জানিয়েছেন, দাদা অত্যন্ত অবসাদের মধ্য়ে ছিলেন। তিনি এখনও বিয়ে করেননি। তিনি হিন্দু কলেজের অ্য়াড হক লেকচারার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু তার জায়গায় সম্প্রতি অপর একজন লেকচারার চলে আসেন। স্বভাবতই ওই পোস্টে তার কাজ যায়।
তবে কলেজের প্রিন্সিপাল অঞ্জু শ্রীবাস্তবের সঙ্গে এনিয়ে যোগাযোগ করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, আমাদের কাছে ফোন এসেছিলেন রানিবাগ এলাকার একটি অ্য়াপার্টমেন্টে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে দেখা যায় ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ রয়েছে।
এরপর জোর করে দরজা ভেঙে ফেলা হয়। আর তারপরই ঘর থেকে দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে বেডশিট গলায় পেঁচিয়ে দেহটি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল। ফরেনসিক টিম গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে। পুলিশও তদন্তে নেমেছে।
পুলিশ জানিয়েছে ঘরেতে প্রচুর খালি মদের বোতল পাওয়া গিয়েছে। প্রচুর সিগারেটের প্যাকেটও ছিল। তবে তাকে খুন করা হয়েছিল এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার প্রতিবাদে আম আদমি পার্টির শিক্ষক সংগঠন নর্থ ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেছে। তারা টুইট করে জানিয়েছে, এভাবে অস্থায়ী ও অ্যাড হক টিচারদের ছাঁটাই করা বন্ধ করা হোক।