ইঁদুরের উৎপাতে অতিষ্ট কৃষকরা।অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে গ্রামীণ এলাকায় ক্ষেত খামারে রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাজারে হাজারে ইঁদুর।কিছুতেই এদের নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।ইঁদুরের দাপট এতটাই বাড়ছে যে প্লেগ মহামারীর আশঙ্কা করছেন অনেকেই।একেই করোনার আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ব।তার ওপর আবার যদি প্লেগ ছড়ায় তাহলে তা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সেকথা ভেবে কুলকিনারা করতে পারছেন না প্রশাসনের কর্তারা।
নিউ সাউথ ওয়েলসে ইঁদুরের এই উৎপাত সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।পাশাপাশি স্থানীয় বৈদুতিন মাধ্যমেও ধরা পড়েছে ইঁদুরের উৎপাতের সেই দৃশ্য।কোথাও ইঁদুর বাড়ি বাড়ি ঢুকে পড়ছে, কোথাও কোথাও জলের ট্যাঙ্কের মধ্যে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে।কোথাও আবার ঘরে থাকা বড় কন্টেনারের মধ্যে তাদের দেখা মিলছে।ইঁদুরের সংখ্যা এতটাই বেড়ে গিয়েছে, তা কৃষকদের তো ক্ষতি করছেই।সেইসঙ্গে হাসপাতালের মধ্যেও ঢুকে উৎপাত চালাচ্ছে।পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে যে নিউ সাউথ ওয়েলস প্রশাসনের তরফে ভারত থেকে ৫ হাজার লিটারের ইঁদুর মারার ওষুধ ব্রোমাডিওলোন অর্ডার দিতে হয়েছে।এই ওষুধটি অত্যন্ত বিষাক্ত।
নিউ সাউথ ওয়েলসের কৃষি মন্ত্রী অ্যাডাম মার্শাল জানিয়েছেন, এই ওষুধটি ইঁদুর মারার পক্ষে মোক্ষম ওষুধ।এই ওষুধ প্রয়োগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা কাজ করবে বলে জানা গিয়েছে।এদিকে শস্যক্ষেত যাতে ইঁদুররা নষ্ট করতে না পারে, সেজন্য শস্যক্ষেতে কীটনাশক ছড়ানোর ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস প্রশাসনেরর তরফে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার মঞ্জুর করা হয়েছে।তবে এখন ফেডারেল সরকারের তরফে কোনও সবুজ সংকেত আসেনি।ফেডেরাল সরকারের অনুমোদন এসে গেলেই তা প্রয়োগ করা হবে।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনবহুল রাজ্যে করোনায় প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।এছাড়া এখানে প্রচুর বন্যা ও দাবানলের ঘটনাও ঘটেছে।স্থানীয় বাসিন্দারা এখন বৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছেন, যাতে ইঁদুররা আবার গর্তে ঢুকে যায়।তবে যেভাবে ইঁদুরের উৎপাত বাড়ছে, তাতে এখনই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা প্রয়োজন বলে মনে করছে প্রশাসন।না হলে খাদ্যে সংকট ও রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে।