ব্ল্যাক ফাঙ্গাস প্রতিরোধক ইনজেকশনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জেরে গুরুতর অসুস্থ ৭৭ জন রোগী। আর এর জেরেই ব্ল্যাক ফাংগাস প্রতিরোধক ইনজেকশন অ্যাম্ফোটেরিসিন বি প্রয়োগ বন্ধ করা হল মধ্যপ্রদেশের এক হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, ব্ল্যাক ফাংগাসে সংক্রামিত রোগীদের অ্যান্টি ফাঙ্গাল ইনজেকশন অ্যাম্ফোটেরিসিন বি দেওয়া হয়েছিল। এরপরই সেই ইনজেকশনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় ২৭ জন রোগীর মধ্যে। এরপর অন্য রোগীদেরও ইনজেকশন দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই ঘটনাটি ঘটে শনিবার। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের অন্তর্গত সাগরের বুন্দেলখণ্ড মেডিক্যাল কলেজে।
এরপর রবিবার আরও ৫০ জন রোগী, যাঁদেরকে এই অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই রোগীরা মধ্যপ্রদেশের নেতাজী সুভাষ চন্দ্র মেডিক্যাল কলেজে ঘটে। ইনজেকশন প্রয়োগের পর সঙ্গে সঙ্গেই পার্স্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেই এই রোগীদের মধ্যে। সেখানেও পরবর্তীতে এই ইনজেকশন প্রয়োগ বন্ধ করা হয়। অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালেই। যদিও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
এদিকে সাগরের বিএমসি হাসপাতালে করোনা রোগী ছাড়াও শুধুমাত্র ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ৪২ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আরও রোগী ভর্তি হচ্ছেন সেখানে। একই পরিস্থিতি এনসসি মেড্ক্যাল কলেজেও। কিন্তু এই মারাত্মক সংক্রমণের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ইনজেকশন ছিল না হাসপাতালগুলিতে। তবে শনিবার সরকারের কাছ থেকে যথেষ্ট পরিমাণে এই ইনজেকশন আসার পর তা রোগীদের দেওয়া হয়। কিন্তু হঠাৎ রোগীরা বমি করতে শুরু করেন, অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপরই দুটি হাসপাতালেই এই ব্যাচের অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ইনজেকশন দেওয়া বন্ধ করা হয়।
ঘটনা প্রসঙ্গে এনএসসি মেডিক্যাল কলেজের ইএনটি ডিপার্টমেন্টের চিকিৎসক কবিতা সচদেব বলেন, 'আমরা জানতে পারি যে সাগরে অবস্থিত বিএমসি হাসপাতালে মিউকোরমাইকোসিস আক্রান্ত রোগীদের অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ইনজেকশন দেওয়ার পরই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপরই আমরাও এখানে রোগীদের ইনজেকশন প্রয়োগ বন্ধ করে দেই। তবে যে রোগীদের আমরা ইতিমধ্যেই ইনজেকশন দিয়ে দিয়েছিলাম, তাঁদের মধ্যে থেকে ৫০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন।'