এমনিতেই দু'দেশের মধ্যে সংঘাত চরমে উঠেছে। সেই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে নিযুক্ত আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত নাজবুল আলিখুলের মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলল কাবুল। সেইসঙ্গে দাবি করা হয়েছে, নৃশংসভাবে তাঁর উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে।
শনিবার আফগান বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, শুক্রবার (১৬ জুলাই) বাড়ি ফেরার সময় পাকিস্তানে নিযুক্ত আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূতের মেয়ে সিলসিলাকে অপরহণ করেছিল একদল অজ্ঞাতপরিচয় লোক। কয়েক ঘণ্টা তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল। সেই সময় নৃশংসভাবে অত্যাচার চালানো হয়। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আপাতত রাষ্ট্রদূতের মেয়েকে একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
সেই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে কাবুল। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই জঘন্য কাজের তীব্র সমালোচনা করছে আফগানিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক। সেইসঙ্গে পাকিস্তানে নিযুক্ত কূটনীতিবিদ, তাঁদের পরিবার এবং আফগান রাজনৈতিক এবং কনসুলার মিশনের কর্মীদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।’ আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং সনদ মেনে পাকিস্তানে থাকা আফগান প্রতিনিধিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ইমরান খান সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছে কাবুল। পাশাপাশি দ্রুত অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে কড়া শাস্তি দেওয়ারও দাবি তোলা হয়েছে।
এমনিতেই তালিবানদের দাপট শুরুর পর থেকেই পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের সংঘাত চরমে উঠেছে। বৃহস্পতিবার একটি টুইটবার্তায় আফগানিস্তানের ভাইস-প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ বলেন, ‘পাকিস্তান বায়ুসেনার তরফে আফগান সেনা এবং বায়ুসেনাকে সরকারিভাবে হুমকি দিয়ে জানানো হয়েছে যে স্পিন বলডাক এলাকা থেকে তালিবানদের উচ্ছেদের কোনওরকম চেষ্টা করা হলে পালটা জবাব দেওয়া হবে। কয়েকটি নির্দিষ্ট এলাকায় তালিবানকে আকাশপথে সমর্থন জোগাচ্ছে পাকিস্তানের বায়ুসেনা।’ বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও উত্তর দেননি।