আটদিন আগে এক রবিবারে কাবুল দখল করেছিল তালিবান। এরপর কয়েক হাজার আফগান কোনও ভাবে দেশ ছেড়েছেন কাবুল বিমানবন্দর হয়ে। এখনও কয়েক লক্ষ আফগান দেশ ছাড়ার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশছাড়া আফগানদের মধ্যে সাংবাদিক, সিনেমা পরিচালক যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন মার্কিন সেনাকে সাহায্যকারী ট্রান্সলেটররা। এদেরই মতো মার্কিন সামরিক বিমানে দেশ ছেড়েছিলেন আফগানিস্তানের জনপ্রিয় পপ তারকা আরিয়ানা সঈদ। তবে দেশ ছাড়লেও দেশের জন্য উদ্বেগ যায়নি তাঁর দেশের মহিলাদের জন্য এখন মন কাঁদছে তাঁর। আর এরই মধ্যে এই পরিস্থিতির জন্য পুরোপুরি পাকিস্তানকে দোষারোপ করলেন তিনি।
এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরিয়ানা সবকিছুর জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেছে বলেন, 'তালিবানের আফগানিস্তান দখলের নেপথ্যে হাত রয়েছএ পাকিস্তানের। পাকিস্তানে তালিবানি ঘআঁটি রয়েছে। সেখানেই তারা প্রশিক্ষণ নিয়েছে।' এরপর তিনি আবেদন জানান যাতে পাকিস্তানের প্রতি সব রকম আর্থিক সাহায্য বন্ধ করা হয়। তিনি বলেন, 'এই সব কর্মকাণ্ডের জন্য পাকিস্তান দায়ী। এখন আমরা সবাই জানি যে, তালিবানদের অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছে। আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করুক। এর আগে যখনই সরকার কোনও তালিবকে ধরেছে, তখনই তার কাছে পাকিস্তানি পরিচয়পত্র পাওযা গিয়েছে। সবকিছুর পিছনে তারাই আছে।'
আফগান মহিলাদের নিয়ে আরিয়ানা বলেন, 'যে সব মহিলারা ঘরে বন্দি হয়ে রয়েছেন, তাঁদের নিয়ে আমি চিন্তিত। তাঁদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাঁরা বাইরে বেরতে পারছেন না। পুরুষ সঙ্গে না থাকলে রাস্তায় বেরতে পারবেন না একজন মহিলা, স্কুলে যেতে পারবে না মেয়েরা। যদি আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ তালিবানের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে আফগান মহিলাদের ভবিষ্যৎ বলে আর কিছু থাকবে না। আমি আজ আফগানিস্তানে নেই। তবে দেশের বাইরে থেকেও আমি আফগানদের জন্য সোচ্চার হব।'
এদিকে ভারতের প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে আরিয়ানা বলেন, 'ভারত আমাদের প্রতি সবসময় ভালো ব্যবহার করেছে। তারা আমাদের প্রকৃত বন্ধু। ভারতে থাকা আফগান শরণার্থীদের তারা সাহায্য করেছে। এর আগে ভারত থেকে আসা কোনও আফগানের সঙ্গে যখনই কথা হয়েছে, তাঁরা ভারতের প্রশংসা করেছেন। পুরো আফগানিস্তানের তরফ থেকে আমি ভারতকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বছরের পর বছর ধরে আমাদের প্রতিবেশী দেশ, বন্ধু ভারত, আমরা বুঝেছি।'