আফগানিস্তানের ভূমিকম্পের ঘটনায় হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। প্রায় হাজার ছুঁতে চলেছে মৃতের সংখ্যা। আফগানিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী মাওলাউ শরাফুদ্দিন একটি সংবাদ সম্মেলনে দাবি করলেন যে আফগানিস্তানের ভূমিকম্পে ৯২০ জন নিহত এবং ৬১০ জন আহত হয়েছে। বেশ কয়েকটি প্রদেশ এই ভূমিকম্পে প্রভাবিত হয়েছে।
বুধবার ভোরে রিখটার স্কেলে ৬.১ মাত্রায় কেঁপে উঠেছিল দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানের খোস্ত শহর। ভূমিকম্পটি দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানের খোস্ত শহর থেকে প্রায় ৪৪ কিলোমিটার (২৭ মাইল) দূরে আঘাত হানে এবং এর উৎস ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫১ কিলোমিটার গভীরে ছিল বলে জানা গিয়েছে। তালিবান প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রধান মহম্মদ নাসিম হাক্কানি বলেছেন, অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা পাকতিকা প্রদেশে ঘটেছে। পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার ও খোস্ত প্রদেশেও মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে তালিবান প্রশাসন।
কাবুলে তালিবান প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ হাসান আখুন্দ পাকতিকা এবং খোস্তে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ সমন্বয়ের জন্য রাষ্ট্রপতির প্রাসাদে একটি জরুরি বৈঠক করেন। তালিবান প্রশাসনের তরফে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে সাহায্য চেয়েছে। এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এক বিবৃতিতে ভূমিকম্পে শোক প্রকাশ করে বলেছেন, তাঁর দেশ আফগান জনগণকে সাহায্য করবে। আফগানিস্তানে রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সমন্বয়কারী রামিজ আলাকবারভও টুইটে সাহায্যের আস্বাস দেন।
ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং ভারতের প্রায় ১১৯ মিলিয়ন মানুষ প্রায় ৫০০ কিলোমিটার জুড়ে এই কম্পন অনুভব করেছেন। পাকিস্তানের মিডিয়া জানিয়েছে, ইসলামাবাদ এবং দেশের অন্যান্য অংশে মৃদু তীব্রতার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। লাহোর, মুলতান, কোয়েটা এবং পাকিস্তানের অন্যান্য এলাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। পাকিস্তানে অবশ্য জানমালের কোনও ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।