মাসের পর মাস বেতন পাননি দূতাবাসের কর্মীরা। শেষপর্যন্ত একে একে বেতন না পেয়ে চাকরি ছেড়েন কর্মীরা। শেষে একজন মাত্র রিসেপশনিস্ট সেখানে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসে আসা ফোন কলগুলিতে উত্তর দেওয়ার জন্য। এই করুণ চিত্র তালিবান জমানায় চিনে অবস্থিত আফানিস্তানের রাষ্ট্রীয় দূতাবাসের। একথা জানিয়েছেন খোদ আফনিস্তানের পদত্যাগী রাষ্ট্রদূত জাভিদ আহমেদ কাসিম।
এক টুইটার বার্তায় নিজের পদত্যাগের কথা জানালেও, এরপর তিনি কোথায় বসবাস করবেন বা কী ররতে চলেছেন তা জানাননি জাভিদ কাশিম। চিনে অবস্থিত আফগানিস্তানের দূতাবাসের এই বিদায়ী রাষ্ট্রদূত তাঁর পদত্যাগের কথা ও দায়িত্ব হস্তান্তরের কথা জানিয়ে এক ভয়ানক ছবি তুলে ধরেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কিভাবে দূতাবাসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অতি কষ্টে কোনও ক্রমে তিনি কর্মীদের বেতন দিচ্ছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। তিনি লিখছেন শেষ ছয় মাস ধরে কাবুল থেকে একটি কানাকড়িও আসেনি বেতনের। এবিষয়ে আফগান কূটনীতিবিদদের একটি কমিটিও তৈরি হয়। যদিও বহু কসরতের পর খানিকটা অর্থ বাঁচিয়ে, চিনে অবস্থিত আফগানের দূতাবাসের উত্তরসূরির জন্য রেখে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কাসিম। সোশ্যাল মিডিয়াতেই তিনি খোলাখুলি লিখেছেন, দূতাবাসের পাঁচটি গাড়ির চাবি তিনি কোথায় রেখেছেন। জানিয়ে গিয়েছেন, একজন স্থানীয় রিসেপশনিস্ট সেখানে রয়েছেন যাবতীয় ফোন কলে উত্তর দেওয়ার জন্য।
মাসের পর মাস বেতন পাননি দূতাবাসের কর্মীরা। শেষপর্যন্ত একে একে বেতন না পেয়ে চাকরি ছেড়েন কর্মীরা। শেষে একজন মাত্র রিসেপশনিস্ট সেখানে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসে আসা ফোন কলগুলিতে উত্তর দেওয়ার জন্য। এই করুণ চিত্র তালিবান জমানায় চিনে অবস্থিত আফানিস্তানের রাষ্ট্রীয় দূতাবাসের। একথা জানিয়েছেন খোদ আফনিস্তানের পদত্যাগী রাষ্ট্রদূত জাভিদ আহমেদ কাসিম।
এক টুইটার বার্তায় নিজের পদত্যাগের কথা জানালেও, এরপর তিনি কোথায় বসবাস করবেন বা কী ররতে চলেছেন তা জানাননি জাভিদ কাশিম। চিনে অবস্থিত আফগানিস্তানের দূতাবাসের এই বিদায়ী রাষ্ট্রদূত তাঁর পদত্যাগের কথা ও দায়িত্ব হস্তান্তরের কথা জানিয়ে এক ভয়ানক ছবি তুলে ধরেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কিভাবে দূতাবাসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অতি কষ্টে কোনও ক্রমে তিনি কর্মীদের বেতন দিচ্ছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। তিনি লিখছেন শেষ ছয় মাস ধরে কাবুল থেকে একটি কানাকড়িও আসেনি বেতনের। এবিষয়ে আফগান কূটনীতিবিদদের একটি কমিটিও তৈরি হয়। যদিও বহু কসরতের পর খানিকটা অর্থ বাঁচিয়ে, চিনে অবস্থিত আফগানের দূতাবাসের উত্তরসূরির জন্য রেখে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কাসিম। সোশ্যাল মিডিয়াতেই তিনি খোলাখুলি লিখেছেন, দূতাবাসের পাঁচটি গাড়ির চাবি তিনি কোথায় রেখেছেন। জানিয়ে গিয়েছেন, একজন স্থানীয় রিসেপশনিস্ট সেখানে রয়েছেন যাবতীয় ফোন কলে উত্তর দেওয়ার জন্য।
|#+|
উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে আফগানিস্তানের দূতাবাসগুলিতে এই পরিস্থিতি উঠে আসতে শুরু করে দিয়েছে। দূতাবাসের বহু কূটনীতিবিদই পুরনো আফগান সরকার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তালিবানের নেতৃত্বাধীন নয়া জমানায় কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। ২০১৯ সাল থেকে চিনে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করছেন জাভিদ কাসিম। এদিকে, কাসিম নিজের পোস্টে লেখেন, 'আমার মতে যখন নতুন কূটনীতিবিদ মিস্টার সাদাত বেজিং এ আসবেন, তখন কোনও আর বাকি কূটনীতিবিদই আর এখানে থাকবেন না।' এদিকে, চিনে আফগান রাষ্ট্রদূতাবাস খোলা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে, তালিবান সরকার নতুন কোন কূটনীতিবিদকে কাসিমের জায়গায় বসিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিকে, গত অগাস্ট মাসে কাবুল দখল করে তালিবানরা। আর তার পর থেকে কর্মহীনতা থেকে সুরু করে একাধিক সমস্যার মাঝে প্রবল আর্থিক সংকটে জড়িয়েছে আফগানিস্তানের তালিবান সাম্রাজ্য।