পর্নোগ্রাফিক সাইট ঘেঁটে আফগান যৌন কর্মীদের খুঁজে বের করার কাজ করছে তালিবান। একটি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডের তরফে এমনই দাবি করা হল। আফগানিস্তানে যৌন কর্মীদের খুঁজে বের করে খুন করা হবে বলে দাবি করা হয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডে। এই মহিলাদের খুবই নৃশংস ভাবে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ট্যাবলয়েডটির খবর অনুযায়ী, কিছু পর্ন ভিডিয়োতে আফগান মহিলাদের পশ্চিমাদের সঙ্গে যৌন সংসর্গে দেখা যাওয়ায় আরও ক্ষেপে উঠেছে তালিবান জঙ্গিরা।
তালিবানের বক্তব্য, নারীদের অধিকার রক্ষা করা হবে 'ইসলামিক আইন' মেনে। শিক্ষা বা কর্মক্ষেত্রে কাজ করতে পারলেও ইসলামিক আইন মেনেই মহিলাদের ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে তালিবানের তরফে। যদিও তালিবানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে বিভিন্ন জায়গা থেকে মলিক অধিকার খর্বের অভিযোগ উঠেছে। কাবুল, হেরাটে তালিবানের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতেও দেখা যায় মহিলাদের।
এদিতে তালিবানি সংস্কৃতি ধরে রেখে মহিলারা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন বলে জানান তালিবানি মুখপাত্র সুহেল শাহিন। এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে সুহেল শাহিন বলেন, 'হিজাব ছাড়া শিক্ষাক্ষেত্রে যাওয়া পশ্চিমা সংস্কৃতি। আফগানিস্তানের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না। তাই তালিবান এর বিরোধিতা করে।' পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রেও 'সংস্কৃতি' মেনে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপের ইঙ্গগিতও দেন সুহেল।
এদিকে এদিন সকালেই তালিবানের তরফে দাবি করা হয় যে তারা পঞ্জশির দখল করেছে। পাল্টা প্রতিরোধবাহিনীর তরফে তালিবানের দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয়। শোনা যাচ্ছে, আল-কায়দার সঙ্গে হাত মিলিয়ে পঞ্জশির প্রদেশে হামলা চালায় তালিবান। আর অপরদিকে তালিবানি সরকার গঠনে ‘সাহায্য’ করতে কাবুলে পৌঁছেছেন পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর।