সোমবার রাষ্ট্রসংঘের একটি নতুন রিপোর্টে বলা হয় যে আফগানিস্তানের ব্যাঙ্কিং এবং আর্থিক ব্যবস্থা তালিবানি দখলদারির পর ধ্বংসের পথে। রাষ্ট্রসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) রিপোর্টে বলা হয়, 'আফগানিস্তানের আর্থিক ও ব্যাঙ্ক পেমেন্ট সিস্টেমগুলি বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে। আফগানিস্তানের সীমিত উৎপাদন ক্ষমতা উন্নত করতে এবং ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার ধ্বংস রোধ করতে সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে হবে।'
তালিবান কাবুলে ক্ষমতায় আসার পরপরই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক রিজার্ভ 'ফ্রিজ' করে। এর ফলে দেশের আর্থিক ও অর্থপ্রদান ব্যবস্থায় নাটকীয় ধাক্কা লাগে। বর্তমানে, দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক আমানতের চাহিদা মেটাতে পারেনি। এর ফলে তালিবান বাধ্য হয়ে ব্যাঙ্ক থেকে সপ্তাহিক টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা আরোপ করতে। এখন সেদেশে প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৪০০ মার্কিন ডলার তোলা যাবে। আগে এই পরিমাণ ২০০ ডলার করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে আফগানিস্তানের মোট ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের আমানত ২০২০ সালের শেষে ২.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল। চলতি বছর সেপ্টেম্বরে সেই পরিমাণ ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে। বর্তমান গতিতে যদি টাকা তোলা চলতে থাকে তাহলে ২০২১ শেষ হতে হতে সেদেশের আমানত ১.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে আসবে। আর তা হলে আফগানিস্তানের ব্যাঙ্কিং খাত পতনের দিকে এগিয়ে যাবে। ইউএনডিপির রিপোর্টে দাবি করা হয়, 'ব্যাংকিং সেক্টর ছাড়া আফগানিস্তানের জন্য কোনও মানবিক সমাধান নেই।'