করোনা প্রকোপের মাঝেই অসমে হানা দিল আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (ASF)। জীবাণু সংক্রমণের দ্রুততায় উদ্বিগ্ন রাজ্য প্রশাসন।
আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার মোকাবিলায় সোমবার পশু চিকিৎসকদের বৃহত্তর পরিকল্পনা করার নির্দেশ দিয়েছেন অসনমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল। এ পর্যন্ত এই রোগে মারা গিয়েছে রাজ্যের মোট ২,৫০০ শুয়োর।
মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, এই রোগের সংক্রমণ আটকাতে রাজ্যে আশঙ্কাজনক স্থান চিহ্নিত করার পাশাপাশি বিস্তারিত প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ করা হোক।
রবিবার অসমের পশু চিকিৎসা মন্ত্রী অতুল বরা জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যে প্রথম ধরা পড়ে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার সংক্রমণ। তবে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে অরুণাচল প্রদেশ সংলগ্ন চিনের শিজ্যাং প্রদেশের এক গ্রাম থেকে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগের জীবাণু।
জীবাণু সংক্রমণ রুখতে এখনই কালিং পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে না অসমে, জানিয়েছেন বরা। বদলে এক কিমি ব্যাস মেনে সংক্রমিত কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে ১০ কিমি ব্যাসার্ধের নজরদারি এলাকা।
বিশ্ব পশু স্বাস্থ্য সংগঠনের মতে, মৃত ও জীবিত দুই রকম শুয়োর থেকেই ছড়াতে পারে ASF। এই রোগের শিকার হয় বন্য ও গৃহপালিত, দুই রকম শুয়োরই। এ ছাড়া শুয়োরের মাংস থেকে তৈরি খাদ্যপণ্যের মাধ্যমেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থা।
শুধু তাই নয়, পশুখাদ্য এবং জুতো, পোশাক, বাহন, ছুরির মতো সামগ্রীর মাধ্যমেও ASF সংক্রমণ ঘটতে পারে বলে সাবধান করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। খনও পর্যন্ত এই রোগের কোনও টিকা আবিষ্কার করা যায়নি।
শুয়োর থেকে মানুষের দেহে সোয়াইন ফ্লু ছড়ালেও মানবদেহে ASF সংক্রমণের কোনও নজির নেই, জানিয়েছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।পর্ক বা তার থেকে তৈরি খাদ্যপণ্যের মাধ্যমেও মানুষের শরীরে এই জীবাণু সংক্রমিত হয় না বলে দাবি অসমের পশু চিকিৎসা দফতরের মন্ত্রী অতুল বরা।