শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের পরে এক মহিলা মনোবিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল আফতাব পুনাওয়ালার। ফ্রিজে শ্রদ্ধার দেহ, ঘরে অপর মহিলার কাছাকাছি এসেছিলেন তিনি। এবার আফতাবের কাণ্ড শুনে রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন তিনি। তাকেই এখন কাউন্সেলিং করাতে হচ্ছে। দিল্লি পুলিশও তাকে জেরা করেছে।
তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, আফতাবকে নিয়ে তার কোনওরকম সংশয় ছিল না। একেবারে সাধারণভাবে আফতাব তার কাছে আসত। প্রচন্ড কেয়ারিং ছিল আফতাব।আফতাবকে ভয় পাওয়ার মতো কিছু ছিল না।
একটি ডেটিং প্লাটফর্ম থেকে আফতাবের সঙ্গে দেখা হয়েছিল ওই মনোবিদের। এরপর আফতাবের ফ্ল্যাটেও তিনি গিয়েছিলেন। আর সেখানেই শ্রদ্ধাকে খুন করেছিল আফতাব। তবে আফতাব জানিয়েছে তদন্তকারীদের, ওই মহিলার শ্রদ্ধার দেহ সম্পর্কে কিছু জানত না।
এদিকে ওই মনোবিদ জানিয়েছেন, ১) আফতাব তাকে একটি সৌখিন আংটি দিয়েছিল। তবে সূত্রের খবর আসলে ওটা ছিল শ্রদ্ধার আঙুলে। সেখান থেকেই খুলে নিয়েছিল আফতাব।
২) আফতাব বিভিন্ন সময় তাকে সুগন্ধী উপহার দিত। তারও কালেকশন খুব ভালো।
৩) তার মধ্য়ে কোনওদিন অস্বাভাবিকত্ব দেখেননি তিনি।
৪) প্রচন্ড কেয়ারিং ছিল আফতাব। দাবি করেছিলেন ওই মহিলা। খবর এএনআই সূত্রে।
৫) মুম্বইয়ের বাড়ি সম্পর্কে মাঝেমধ্যে বলত আফতাব।
৬) প্রচুর সিগারেট খেত আফতাব। নিজেই বানাত সিগারেট। তবে মাঝেমধ্যে বলত সিগারেট ছাড়ার কথা।
৭) খেতে ভালোবাসত আফতাব। ননভেজ আইটেম বাড়িতে আনাত সে।
তবে পুলিশের কাছে খবর, একাধিক ডেটিং সাইটে মেয়েদের খোঁজ করত আফতাব। অন্তত ১৫-২০ জন মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করত আফতাব। শ্রদ্ধা খুনের ১২দিন পরে ৩০ মে তেমনই একজনের সঙ্গে দেখা করেছিল আফতাব।