আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। এখন দেশের প্রায় সবার মুখে মুখে এই নাম। প্রেমিকাকে নৃশংসভাবে খুন করা এই যুবকের কীর্তি সম্পর্কে যত খবর প্রকাশ হচ্ছে, ততই গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। কোথায় মার্কিন টিভি সিরিজ ‘ডেক্সটার’, তাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে আফতাবের কীর্তি। শ্রদ্ধার খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, একফুটের একটি ধারাল অস্ত্র দিয়ে দেহ টুকরো করে আফতাব। কিমা করে ফেলে শ্রদ্ধার অন্ত্রের অংশ। ফ্রিজের খাপের মাপে মাপে দেহাংশ কাটা হয়েছিল। আপাস সেই ফ্রিজেই কাটা দেহাংশের পাশে ঠান্ডা পানীয়, আইসক্রিম রাখত আফতাব। মাঝে মাঝেই নাকি ফ্রিজ খুলে শ্রদ্ধার কাটা মুণ্ড দেখত আফতাব। জানা গিয়েছে মে মাসে খুন করা হলেও শ্রদ্ধার মাথা অগস্ট পর্যন্ত ফ্রিজে রেখেছিল আফতাব।
দিল্লির মেহুরাউলিতে একসঙ্গে থাকতেন আফতাব আমিন পুনাওয়ালা এবং তাঁর প্রেমিকা শ্রদ্ধা। সেই ফ্ল্যাটেই শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহের ৩৫ টুকরো করেছিল আফতাব। মোট ১৮ দিন যাবৎ শ্রদ্ধার মৃতদেহের অংশগুলি বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ফেলে এসেছিল আফতাব। এই সময়কালে নিজের ফ্ল্যাটে একাধিক যৌনসঙ্গীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল আফতাব। পুলিশ জানিয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুন করার পর একাধিক নারীর সঙ্গে ডেটিং অ্যাপে আলাপ করে আফতাব। তাঁদের সঙ্গে দেখাও করে সে। এবং নিজেরই ফ্ল্যাটে তাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কেও জড়িয়েছিল আফতাব। সেই সময় ফ্ল্যাটের এক কোণে দাঁড়িয়ে থাকা ফ্রিজেই ছিল শ্রদ্ধার দেহ।
জেরায় আফতাব জানিয়েছে, শ্রদ্ধা তার ওপর বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল। এদিকে পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পেরেছে, শ্রদ্ধার সঙ্গে সম্পর্কে থাকা সত্ত্বেও ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করে চলছিল আফতাব। যা নিয়ে দু’জনের মধ্যে মনোমালিন্য লেগেই থাকত। এই কারণেই নাকি নিজের প্রেমিকাকে খুন করে বসে আফতাব। যদিও খুনের নেথ্যে তৃতীয় কোনও ব্যক্তি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে গভীরে গিয়ে তদন্ত করছে পুলিশষ ইতিমধ্যেই শ্রদ্ধার দেহের ১২টি টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এখনও মাথা উদ্ধার করা যায়নি।