১৯৯৪ সালের বিদ্রোহী-বিরোধী এক অভিযানে ভারতীয় সেনার হাতে অসমের তিনসুকিয়ায় ৫ জন যুবকের মৃত্যুর ঘটনার ২৯ বছর পর, সেই মামলার রায় দিল গুয়াহাটির হাইকোর্ট। ওই ৫ যুবকের পরিবারকে ২০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ কেন্দ্রকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে গুয়াহাটি হাইকোর্ট। এই মামলা আপাতত ‘ক্লোজড’ বলে জানিয়ে দিয়েছে কোর্ট।
উল্লেখ্য, আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, কোর্ট জানিয়েছে, বহু সময় পার হয়ে গিয়েছে এই মামলায়। সমস্ত তথ্য ও প্রমাণ এই সময়কালে জোগাড় করা কঠিন ছিল। উল্লেখ্য, হাইকোর্টের বিচারপতি অচিন্ত্য মাল্লা বুজোর বরুয়া ও বিচারপতি রবিন ফুকান এই নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশেই কেন্দ্রকে মৃত ৫ যুবকের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, ‘এই মামলা ক্লোজ করা হতে পারে’। ( মহিলা চিকিৎসককে ছুরির কোপে খুন! অভিযুক্ত বয়ফ্রেন্ডের আত্মহত্যার চেষ্টা)
উল্লেখ্য, যে ৫ যুবককে ঘিরে এই মামলার রায় এসেছে, সেই ৫ যুবক ‘অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’এর সদস্য ছিলেন। ১৯৯৪ সালের ফেব্রুয়ারির তপ্ত অসমের তিনসুকিয়ার দুমদুমা থেকে ওই ৫ পড়ুয়াকে পাকড়াও করে সেনা, বলে জানা যায়। এলাকায় এক চা বাগানের মালিকের মৃত্যু ঘিরে তখন অসমে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সেই চা বাগানের মালিকের হত্যাকাণ্ডে উলফা জঙ্গিরা কাঠগড়ায় ছিল। এদিকে, দলের ৫ সমর্থককে পাকড়াও এর পর গর্জে ওঠে ‘অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’। দলের নেতা জগদীশ ভুইঞা কোর্টে হিবিয়াস কর্পাসের পথে হাঁটেন। তার দ্বারাই সেনা জানিয়েছিল, ওই ৫ পড়ুয়ার মৃত্যুর কথা। মোট ৯ জন দলীয় সদস্যকে নিয়ে ছিল ‘অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ এর প্রশ্ন। সেই মামলা গিরে কোর্টে ৪ জনকে সেনা পেশ করে। আর বাকি ৫ জনের মৃতদেহ পরে সামনে আনে। গোটা অসমে এই ঘটনার ক্ষোভের আগুন ছড়ায়। সেনার তরফে এই ঘটনা ঘিরে পঞ্জাব রেজিমেন্টের ঢোলা ক্যাম্পে ৭ জন জওয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। ২০১৮ সালে সেই সাতজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হয়েছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup