কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজের চাপে মাত্র এক বছর বয়সেই মেয়ের বিয়ে দিতে হয়েছিল পরিবারকে। সেই বিয়ে খারিজ করে দিল আদালত। ঘটনাটি রাজস্থানের যোধপুরের। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর ওই তরুণী শ্বশুর বাড়ি যেতে অস্বীকার করেছিলেন। তিনি সেই বিয়ে কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি। তার সপক্ষেই রায় দিল আদালত।
মামলার বয়ান অনুযায়ী, রেখা নামে ওই তরুণী যোধপুরের রাসেদা গ্রামের বাসিন্দা। ২০০২ সালে তার বাবার মৃত্যু হয়। সেই সময় তার বয়স ছিল ১ বছর। মাউসার প্রথা অনুযায়ী, পরিবারের কোনও সদস্যের মৃত্যু হলে বাচ্চাদের বিয়ে দেওয়া হয়। সেই প্রথা মেনেই গ্রামের একটি ছেলের সঙ্গে এক বছর বয়সে বিয়ে হয় রেখার। ২০১৭ সালে যখন তার বয়স ১৫ বছর হয়েছিল সেই সময় তার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দেন। কিন্তু ছেলেটি অশিক্ষিত জানতে পেরে ওই তরুণী সেই বিয়ে মেনে নেননি। এমনকি শ্বশুরবাড়িও যেতে চাননি। ঘটনায় গ্রামে খাপ পঞ্চায়েত বসে। সেখানে ওই তরুণীর পরিবারের কাছে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
এরপরেই রেখা একটি এনজিও’র সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপর মামলা হয় পারিবারিক আদালতে যায়। ওই এনজিও’র পক্ষ থেকে কীর্তি ভারতী বলেন, রেখা বিয়ে মেনে নিতে অস্বীকার করেন কারণ তিনি একজন নার্স হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার পারিবারিক আদালতের প্রিসাইডিং অফিসার প্রদীপ কুমার মোদী বিয়ে খারিজের নির্দেশ দেন। মামলার রায় দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বাল্যবিবাহ নির্মূল করার জন্য সকলকে একসঙ্গে লড়াই করা উচিত।