একই দিনে, একইভাবে একই পরিবারের সকলের আত্মহত্যা! ঘটনা অবাক করার মতো হলেও, দিল্লির বুরারিতে একই পরিবারের আত্মহত্যার ঘটনার ছায়া এবার মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুরে। আলিরাজপুরে একই পরিবারের ৫ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘিরে বহু প্রশ্ন উঠছে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ১ জুলাই দিল্লির বুরারির চুন্দাওয়াত পরিবারের ১১ জন সদস্যের দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে। সেই ঘটনা আত্মহত্যা বলেই অভিযোগ। এরপর ১ জুলাই ২০২৪ সালে আলিরাজপুরের এক পরিবারের ৫ জন সদস্যের দেহ বাড়ি থেকে উদ্ধার হল। এই ঘটনাও আত্মহত্যা বলে অভিযোগ। রয়েছে বহু প্রশ্ন, রহস্যের ধোঁয়াশা!
সোমবার ভোরে মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুরে একই পরিবারের ৫ জন সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে একে আত্মহত্যা বলেই মনে করছে। ২৭ বছর বয়সী রাকেশ দোদওয়া, ২৫ বছর বয়সী তাঁর স্ত্রী ললিতা দোদওয়া ও তাঁদের সন্তান ৯ বছরের লক্ষ্মী, ৭ বছরের প্রকাশ ও ৫ বছরের অক্ষয়ের দেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির ভিতর তাঁদের সকলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে।
এবার একবার ফিরে দেখা যাক, বুরারি-কাণ্ড। ২০১৮ সালের ১ জুলাই দিল্লিতে বুরারি এলাকা থেকে চুন্দাওয়াত পরিবারের ১১ জনের দেহ উদ্ধার হয় তাঁদের বাড়ি থেকে। পড়শিদের কাছে তাঁরা ভাটিয়া পরিবার হিসাবে পরিচিত ছিলেন। তিন তলা বাড়িতে থাকা ভাটিয়াদের দেহ ১ জুলাই ভোরবেলা উদ্ধার হয়। ঠিক যেমন মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুরের এই পরিবারের সদস্যদের দেহ আজ ভোরে উদ্ধার হয়েছে। বুরারিকাণ্ডের তদন্তে নেমে পুলিশ সাইকোসিস ও শেয়ার্ড ডিলিউশন সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরে। প্রশ্ন উঠছে, আলিরাজপুরের ঘটনার নেপথ্যে কোন কারণ? ২০১৮ সালে বুরারিকাণ্ড ঘিরে ছিল বহু প্রশ্ন। পড়শিরা বুঝতে পারছিলেন না হাসি-খুশি ভাটিয়ারা কেন হঠাৎ আত্মহত্যার রাস্তা বেছে নিলেন?
শুধু দিল্লির বুরারির ভাটিয়া পরিবারই নয়। গত বছর গুজরাটের একই পরিবারের ৭ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে যায়। তাঁদের দেহও তাঁদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়। ফলে প্রাথমিকভাবে ঘটনাকে আত্মহত্যা বলেই মনে করে পুলিশ। সেই ঘটনায় ৩ জন শিশু সহ ৬ জন বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ, আর একজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এদিকে, আলিরাজপুরের ঘটনায় দেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।