মহুয়া মৈত্র। এবারও কৃষ্ণনগর আসন থেকে জিতেছেন তিনি। কিন্তু এই ভোটের আগে তাঁর উপর কী ধরনের অত্য়াচার চলেছিল সেকথা তিনি জানিয়েছেন সাংবাদিক বরখা দত্তের কাছে।
সেখানে তিনি বলেন, 'আমার পুরো (জরায়ুর) অপারেশন হয়েছিল( hysterectomy)। এটা সবার সামনে বলছি। কারণ এটা বলতে হচ্ছে। অনেকে মেনোপজ নিয়ে বলতে দ্বিধা বোধ করেন। কিন্তু আমি বলছি আমার পুরো হিসটেরেকটমি ছিল ৮ জানুয়ারি। আমি ১১-১২ তারিখে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাই। আমার প্রথম সার্জারি। আমি একসপ্তাহ পরে সরকারের কোয়ার্টারে ছিলাম। আমায় টিকিট দেওয়া হয়েছিল…অ্য়াডিশনাল সলিসিটর জেনারেল চেতন শর্মা বিজেপির হয়ে আদালতে গিয়েছিলেন। তিনি হেসে বলেছিলেন হা হা হা…দেখুন সার্জারির সময়টা। যেন সার্জারিটা তৈরি করা ছিল।…এরপর হিসটেরেকটমির আট দিন পরে…১৬ তারিখে বলা হল কোয়ার্টার ছেড়ে দিতে। সেদিন সকালে ২০০ পুলিশ কর্মী, একাধিক বিজেপি মিডিয়া দাঁড়িয়ে ছিল যে তারা দেখবেন মহুয়া মৈত্রকে বের করা হবে। কিন্তু মহুয়া ঘর পরিস্কার করে চাবি দিয়ে দিয়েছিল। …'
কীভাবে বড় অপারেশনের এক সপ্তাহের মধ্য়ে তাঁকে সরকারি আবাসন ছাড়তে বাধ্য় করা হয়েছিল..সেকথাই তুলে ধরেছেন মহুয়া। সাংবাদিক বরখা দত্তের পডকাস্টে হাজির ছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি যন্ত্রণার কথা তুলে ধরেন।
কীভাবে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পরে মহুয়াকে কার্যত তাঁর সরকারি আবাসন থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য় করা হয়েছিল সেকথাই তুলে ধরেন তিনি। তবে এবারও কৃষ্ণনগর থেকে সাংসদ হয়েছেন তিনি।
এদিকে এবার ভোটপর্বে মহুয়ার প্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বার বারই মহুয়ার সাহসিকতার প্রশংসা করেছিলেন। ভোটপর্বে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর সমর্থনে প্রচারে গিয়েছিলেন মমতা। সেখানে মহুয়াকে পাশে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে একের পর এক নিশানা করেন তিনি। মমতা বলেন, আগামী কাল এখানে বিজেপি নেতারা মিথ্যে কথা বলতে আসছেন। কারণ মহুয়াকে নিয়ে ওদের খুব জ্বালা।
মমতা বলেন, কার সঙ্গে কার বন্ধুত্ব কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে যাবে। আসলে মহুয়াকে নিয়ে ওদের খুব জ্বালা। ও মুখের উপর কথা বলে দেয়। ভয় পায় না। মহুয়ার বহিষ্কার প্রসঙ্গে মমতা বলেন, দেশে কী চলছে সেটা ও বলে দিয়েছিল। সেকারণেই ওকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। মমতা বলেন, মহুয়া লড়ে বাঘের বাচ্চার মতো।
এদিকে প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড অনন্ত দেহদ্রাইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল মহুয়ার। আর তার জল গড়ায় বহু দূর পর্যন্ত। পরবর্তী সময় মহুয়ার সম্পর্কে একের পর এক তথ্য় সামনে আসতে থাকে। এদিকে এই ইস্যুতে বরাবরই মহুয়ার পাশে থেকেছেন মমতা।