গ্রেফতারির এক সপ্তাহ পরে দিল্লির মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাল এনফের্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। আজকে সকালে সত্যেন্ত্র জৈনের বাসভবনের পাশাপাশি আরও কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে ইডি। বিজেপি ও আম আদমি পার্টির মধ্যে রাজনৈতিক রেষারেষির মাঝে এই তল্লাশি অভিযান বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দর কেজরিওয়াল অভিযোগ করেছিলেন যে সত্যেন্ত্র জৈনের পর মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এবং কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে ‘আবেদন’ জানান যাতে আম আদমি পার্টির সব নেতাকে একবারেই গ্রেফতার করা হোক।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩০ মে অর্থ পাচারের মামলায় দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করে ইডি। এই ঘটনায় কলকাতা যোগের কথাও সামনে আসছে। কলকাতার একটি সংস্থার সঙ্গে হাওয়ালা লেনদেনে তিনি যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। এর আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সি জানিয়েছিল সত্যেন্দ্র জৈনের পরিবার ও কোম্পানির প্রায় ৪.৮১ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এই অর্থ তছরূপের মামলায়।
এদিকে চারদিন আগেই কেজরিওয়াল বলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বৃহস্পতিবার একটি সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেছিলেন। তিনি দাবি করেন যে সূত্র মারফত তিনি জানতে পেরেছেন যে মণীশকে গ্রেফতার করা হতে পারে। এর আগে পঞ্জাব নির্বাচনের প্রাক্কালে জানুয়ারি মাসে একই ধরনের এক সাংবাদিক সম্মেলন করে কেজরিওয়াল দাবি করেছিলেন যে সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করা হবে। তাঁর সেই ‘ভবিষ্যদ্বাণীর’ কয়েক মাস পর শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় সত্যেন্দ্র জৈনকে। এই আবহে কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রী মোদীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব যে আমাদের (আম আমদমি পার্টি নেতৃত্ব) একে একে বাছাই না করে আমাদের সবাইকে জেলে ঢোকান এবং আমাদের তদন্তের জন্য সমস্ত কেন্দ্রীয় সংস্থা ব্যবহার করুন।’