ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের অফিস চত্বরের নিরাপত্তা ভেঙে ঢুকে পড়ে একদল বিক্ষোভকারী। ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। দাবি করে ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। এদিকে, দিল্লিও বিষয়টির কড়া নিন্দা করে তা ‘গভীর অনুতাপের’ বিষয় বলে ব্যাখ্যা করে। এমন কাজ অনুচিত বলে দিল্লি সোমবার বার্তা দেয়। দিল্লির সেই বার্তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আগরতলা কাণ্ডে ৭ জন গ্রেফতার হয়েছে। ৩ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভিযোগ করেছিল, আগরতলার ঘটনায় বাংলাদেশের কূটনৈতিক ভবনে বিক্ষোভকারীরা ঢুকে পড়ার সময় কর্তব্যরত স্থানীয় পুলিশ সক্রিয় ছিল না। ঢাকা, গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়। ঢাকা সাফ বার্তায় বিষয়টি নিয়ে ভারতকে পদক্ষেপ করতে বলে। এস জয়শঙ্করের নেতৃত্বাধীন ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, 'কূটনৈতিক এবং কনস্যুলার সম্পত্তি কোনও অবস্থাতেই টার্গেট করা উচিত নয়।'এদিকে, এই পরিস্থিতিতে আগরতলাকাণ্ডে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেশ কিছু রিপোর্টের দাবি, সেদিন পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভে উত্তাল মানুষ ওই কূটনৈতিক ভবন চত্বরে প্রবেশের ঘটনায় ৩ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদিকে, ভারত জুড়ে বাংলাদেশের কূটনৈতিক ভবনগুলির নিরাপত্তা আটোসাঁটো করার কথা বলেছে দিল্লি। এদিকে, আগরতলায় বাংলাদেশের কূটনৈতিক ভবনের সামনে নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সারাদিন ধরে সেখানে মোবাইল পেট্রোলিং চলছে। বাংলাদেশের দাবি, সেখানে তাদের জাতীয় পতাকা পোড়ানো হয়েছে, বিক্ষোভের মাঝে মহম্মদ ইউনুসের ছবিও পোড়ানো হয়।
( How to identify authentic Jeera: ভেজাল নিয়ে খুব সাবধান! আসল জিরে চিনে নেওয়ার এই ৫ সহজ উপায় দেখে নিন)
( Budh Uday Astrology: বুধ উদয় হতেই চাকরিতে উন্নতি, বাড়বে টাকার সঞ্চয়, লাকি রাশির লিস্ট লম্বা!)
ত্রিপুরার নিউ ক্যাপিটাল পুলিশ স্টেশনে এই ঘটনা ঘিরে মামলা রেজিস্টার হয়েছে। হামলাকারীরা ভারতীয় ন্যায় সংহিতার আওতায় মামলা অভিযুক্ত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হামলার ও দায়িত্বে থাকা পাবলিক সার্ভেন্টকে অপরাধী শক্তি নিয়ে হামলা করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও দাঙ্গা, বেআইনি জমায়েতের অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। এরই সঙ্গে অপরাধমূলক অনুপ্রবেশের মামলাও রয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।
এর আগে, সোমবার আগরতলায় ওই বিক্ষোভ হয়। সেখানে সহকারী হাইকমিশনের অফিসে ঢুকে পড়ে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির সদস্যরা। বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর ওপর হামলার ঘটনায় এই বিক্ষোভ আয়োজিত হয়। তখনই এই অপ্রীতিকর অবস্থা তৈরি হয়।