শনিবার বালোচিস্তানের সমাজকর্মী মেহেরং বালোচকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান পুলিশ। এরপরই 'বালোচ ইয়াকঝেটি কমিটি' সোমবার পথে নেমে বিক্ষোভের ডাক দেয়। বিক্ষোভ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা স্বাভাবিক রাখা যাবে তা নিয়ে আশঙ্কায় ছিল পাকিস্তানের পুলিশ। শেষমেশ করাচির কমিশনার পাকিস্তানের করাচি শহরে জারি করেন ১৪৪ ধারা। উল্লেখ্য, ইদের আগের করাচিতে এঅ ১৪৪ ধারা জারি হতেই শহর জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি।
পাকিস্তানের সংবাদপত্র ‘দ্য ডন’র খবর অনুযায়ী, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এই বিধি নিষেধ আরোপের বিষয়টি সুপারিশ করেন করাচির দক্ষিণ জোনের ডিআইজি সইদ আসাদ রাজা। জানা গিয়েছে, করাচি প্রেস ক্লাব থেকে বালোচরা এই বিক্ষোভ শুরু করবেন। তাঁদের দাবি, মেহেরাংকে অবৈধভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই, পাকিস্তানে কোয়েটাতে এক আস্ত ট্রেন অপহরণ করে বিলোচ বিদ্রোহীরা। ঘটনায় বহু জনের মৃত্যুর খবর আসে। এরপর পাকিস্তান সেনা সেই ট্রেন থেকে অনেকেই উদ্ধার করে। মৃত্যু হয় অনেকের। তারপরই আসে বালোচ নেত্রী মেহরাংয়ের গ্রেফতারির খবর। ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন বালোচরা।
ওদিকে, পাকিস্তানের করাচিতে ইদের আগে, ২৪ মার্চ জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। যার ফলস্বরূপ কোনও প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, অবস্থান, প্রতিবাদ, ৫ জনের জমায়েত করা নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে। জানা যায়, 'বালোচ ইয়াকঝেটি কমিটি' বা বিওয়াইসি সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টে থেকে এই বিক্ষোভের কর্মসূচি নেয়। এর আগে, এই সংগঠনের নেত্রী মেহরাং সহ ১৬ জন সমাজকর্মীকে আটক করে পাকিস্তান পুলিশ। কোয়েট্টার শরিব রোডে তাঁদের ক্যাম্প থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা সেখানে জোরপূর্বক গুমের ঘটনার প্রতিবাদ করছিলেন। তখনই তাঁদের আটক করা হয়। এদিকে, বালোচ ন্যাশনাল মুভমেন্ট ইউনাইটেড কিংডমের সদস্যরা ব্রিটেনে ঘটনার প্রতিবাদে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে প্রতিবাদে মুখর হন। ‘বালোচ হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল’ও ঘটনায় রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপের ডাক দেয়। ‘বালোচ হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল’ র দাবি, নিঃশর্তে মেহরাং সহ বাকিদের ছেড়ে দিক পাকিস্তান।