বিশ্বকল্য়াণ পুরকায়স্থ
অসমের শ্রীভূমি জেলায় একটি মন্দির তৈরি হচ্ছিল। বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশ( বিজিবির) তরফ থেকে এনিয়ে জানতে চাওয়া হয়। আপাতত সেই কাজ স্থগিত রাখা হয়েছিল। তবে শ্রীভূমির জেলার প্রশাসন জানিয়েছে, এটা নিয়ে একটি বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। তবে আলোচনার মাধ্যমে এটা মিটিয়ে ফেলা হয়েছে।
শ্রীভূমির জেলা কমিশনার প্রদীপ কুমার দ্বিবেদী হিন্দুস্তান টাইমসকে শুক্রবার জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে যেখানে মন্দির তৈরি হচ্ছিল সেখানে একটা কালো প্লাস্টিক ছিল। সেটা নিয়েই কিছু কনফিউশন হয়। তিনি জানিয়েছেন, মনসা মন্দিরের পুননির্মান হচ্ছে। কর্মীরা একটা ছোট তাঁবু বানিয়েছিলেন। সেটা দেখতে পায় বিজিবি। বিজিবি এনিয়ে তাদের বক্তব্য জানিয়েছিল। নির্মাণ বন্ধ রাখা হয়েছিল। সন্ধ্যায় ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের পরে বিভ্রান্তি কেটে গিয়েছে।
শ্রীভূমি জেলায় অন্তত ৯৫ কিমি সীমান্ত এলাকা রয়েছে। ৪০ কিমি সীমান্তে নদী রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে বিজিবির একটা টিম নদী পেরিয়ে চলে আসে এপারে। যেখানে নির্মাণ হচ্ছিল সেখানে তারা আসে। তারা বিএসএফকে একটা চিঠি দিয়েছিল। এরপর মন্দির নির্মাণ বন্ধ করতে বলে তারা।
বিএসএফের এক আধিকারিক বলেন, এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সীমান্তের দুই বাহিনীর মধ্যে আলোচনা হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, এখানে নদী রয়েছে। সেকারণে অর্ধেকটা আমরা দেখি আর অর্ধেকটা ওরা। কোনও অস্বাভাবিক কিছু দেখলেই আমরা প্রশ্ন করি। তারা ভারতের দিকে ওই নির্মাণ নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল। আমরা জানিয়ে দিয়েছি।
অফিসার জানিয়েছেন, তারা( বিজিবি) কুশিয়ারা নদীর মাঝখানে এসে পতাকা নেড়ে বলেছিল ফ্ল্যাগ মিটিং করতে চায়। আমরা সাড়া দিয়েছি।
তিনি বলেন, এটা বলাটা ভুল হবে যে বিজিবি ভারতের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছিল। যদি তারা কিছু জানতে চায় তবে তারা ১৫০ মিটার পর্যন্ত আসতে পারে। আমরাও তাদের দিকে যাই। তারা সহযোগিতা করে।
অসম পুলিশ জানিয়েছে, একেবারে নদীর ধারে মন্দিরটি হচ্ছে। সরকার ৩ লাখ টাকা মঞ্জুর করেছে।
এসপি শ্রীভূমি পার্থ প্রতীম দাস বলেন, এই ধরনের আলোচনা খুব সাধারণ। এখন সব ঠিকঠাক আছে।
সম্প্রতি অসমের বরাক উপত্যকার কিছু স্থানীয় মানুষ সীমান্তের কাছে ভিড় করেছিলেন। বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে তারা এই বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। একটা সময় পুলিশ তাদের সরাতে লাঠিচার্জও করেছিল। একাধিক ব্যক্তি এতে আহত হয়েছিলেন বলে খবর।