সক্রিয় রাজনীতি থেকে সাময়িক বিরতি দিলেন কংগ্রেস নেতা ভরতসিং সোলাঙ্কি। সম্প্রতি গুজরাটের ওই কংগ্রেস নেতা একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। দাবি করা হচ্ছিল, কংগ্রেস নেতাকে ‘গার্লফ্রেন্ডের’ সঙ্গে ধরেছিলেন স্ত্রী।
সেই ভিডিয়ো নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই সক্রিয় রাজনীতি থেকে সাময়িক বিরতির ঘোষণা করেন সোলাঙ্কি। তবে সেই বিতর্কের জেরে নয়, বরং সামাজিক কাজ করার জন্য বিরতি নিয়েছেন বলে দাবি করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কয়েক মাসের জন্য আমি সক্রিয় রাজনীতি থেকে বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং সামাজিক কার্যে মনোযোগ দেব। এই সময় দলিত, আদিবাসী, সংখ্যালঘু এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মানুষের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাব।’
আরও পড়ুন: Hardik Patel Joins BJP: কংগ্রেস ছাড়ার কয়েকদিন পরই বিজেপিতে যোগ ‘মোদী অনুগত সৈনিক’ হার্দিকের
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, এক বয়স্ক মহিলা (প্রৌঢ়া) একটি ঘরে ঢুকছেন। এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ও শোনা যায়। মহিলাকে সম্ভবত আটকানোর চেষ্টা করতে থাকেন ওই ব্যক্তি। তারইমধ্যে এক যুবতিকে মারধর করতে দেখা যায় ওই মহিলাকে। অনেকে ভিডিয়োও করতে থাকেন। একাংশের দাবি, ওই ব্যক্তি আসলে সোলাঙ্কি। প্রৌঢ়া হলেন তাঁর স্ত্রী। যুবতি হলেন সোলাঙ্কির ‘গার্লফ্রেন্ড’।
সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর বিধানসভা ভোটের আগে অস্বস্তিতে পড়ে কংগ্রেস। সেজন্য হাইকমান্ডের তরফে সোলাঙ্কিকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে একটি মহল থেকে দাবি করা হয়। যদিও তা মানতে চাননি সোলাঙ্কি। ৬৮ বছরের কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘আমি হাইকমান্ডের থেকে কোনও নির্দেশ পাইনি।’
তারইমধ্যে স্ত্রী'কে আক্রমণ শানিয়েছেন সোলাঙ্কি। তাঁর দাবি, ১৯৯৯ সালে বিয়ে হলেও ইতিমধ্যে ডিভোর্সের জন্য আবেদন দাখিল করেছেন। ডিভোর্স পেয়ে গেলেই আবারও বিয়ে করবেন। আগামী ১৫ জুন যে মামলার শুনানি হবে। সেইসঙ্গে সোলাঙ্কির অভিযোগ, তাঁর সম্পত্তি হাতানোর জন্যই এরকম কাণ্ড করছেন স্ত্রী। দীর্ঘদিন দু'জনে আলাদা থাকেন। তাঁর প্রাণের ঝুঁকিও আছে বলে দাবি করেন সোলাঙ্কি। তিনি বলেন, 'আমি ডিভোর্স চাইছি, কারণ সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার জন্য অতীতে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে। আমায় খুন করার জন্য তোলাবাজদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল।'