প্রিয়াঙ্কা দেববর্মন
সদ্য ত্রিপুরার চারিলামে বিজেপি ও সিপিএমের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে এক সিপিএম কর্মীর, আহত ১২ জন। এরপরই ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা মানিক সরকারের নেতৃত্বে পার্টির প্রতিনিধি দল এলাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। উল্লেখ্য, ত্রিপুরার সিপিএমের দাবি, গত ২০১৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ত্রিপুরায় ২৪ জন সিপিএম নেতার মৃত্যু হয়েছে সংঘর্ষে। আহতের সংখ্যা ৫০০।
ত্রিপুরায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরি বলছেন, ‘২০১৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে আমাদের পার্টির, আহত হয়েছেন ৫০০ জন। অনেকেই বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন এই রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেরে শেষ ৪ বছরে।’ উল্লেখ্য, ত্রিপুরার আগরতলা থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সেপাহিজালা জেলা। সেখানের চারিলামে এক রাজনৈতিক সংঘর্ষের পর ফুঁসে ওঠে সিপিএম। দলীয় কর্মী শহিদ মিঞার মৃত্যুর পর সিপিএম ওই এলাকায় দলীয় প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে পরিদর্শন করছে। দলের তরফে সাফ বার্তা ‘এই ঘটনার যথাযথ নিরপেক্ষ তদন্ত চাই’। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় শাসকদল বিজেপির দিকেই এই ঘটনা ঘিরে নিশানা করেছে সিপিএম।
যে এলাকায় ওই রাজনৈতিক সংঘর্ষে সিপিএম কর্মীর মৃত্যু হয়েছে, সেখানে ত্রিপুরার উপমুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মার পোক্ত ঘাঁটি রয়েছে বলে খবর। ফলত এলাকায় বিজেপির দাপট অব্যাহত রয়েছে। সেই জায়গা থেকে সিপিমের তরফে তোপ দাগা হয়েছে বিজেপির দিকে। এদিকে, কংগ্রেসের তরফে আশিস কুমার সাহা ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে দাবি করেছেন, গোটা ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা বারবার ফুটে উঠছে। তাঁর ক্ষোভ সরকার এই গোটা ইস্যুতে কোনও মতেই আইনসৃঙ্খলা ধরে রাখতে পারছে না। ত্রিপুরার রাজনৈতিক দল 'তিপরা' পার্টির তরফে প্রজ্যোৎ দেববর্মা বলছেন, যিনি মারা গিয়েছেন, তিনি পার্টি কর্মী হওয়ার আগে কারোর বাবা কারোর স্বামী। তিনি এই ইস্যুতে রাজনৈতিক সংঘাতের চরম বিরোধিতা করেন।