এদিন দ্বিতীয়বার শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন প্রশান্ত কিশোর। এবং সেই বৈঠকের পরই এনসিপি প্রধান অ-কংগ্রেসি বিরোধী দলগুলিকে একটি বৈঠকে ডাকলেন। সেই বৈঠকে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে 'কো-চেয়ার' করবেন তৃণমূলে যোগ দেওয়া যশবন্ত সিনহা। তবে বৈঠকে এখনও ডিএমকে-কে কোনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কংগ্রেসের নামই নেই এই তালিকাতে। প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে শরদ পাওয়ারের কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা না গেলেও 'মিশন ২০২৪'-এর চাকা যে ঘুরতে শুরু করেছে, তা বলাই বাহুল্য।
বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে রুখে দিয়ে দেশের সামনে মোদী বিরোধী মুখ হয়ে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই যুদ্ধে মমতার অন্যতম মন্ত্রী ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। বাংলা জয়ের পর এবার তৃণমূলের নজরে দিল্লি। দিল্লির রাজনীতিতে নিজের গুরুত্ব যে বাড়ছে, নেত্রী নিজেও তা ভালই বুঝতে পারছেন। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে বসিয়েছেন। আর এই সবের মধ্যেই আরও একবার উঠে আসছে তৃতীয় ফ্রন্টের প্রসঙ্গ। আর সেই জল্পনা আরও বেড়েছে পিকে-শরদ পরপর বৈঠকে।
কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, বিধানসভা ভোটের পর এবার ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও মমতাকে বিরোধী দলগুলির নেত্রী হিসেবে তুলে ধরতে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন সেই প্রশান্ত কিশোর। সেই আবহে শরদ পাওয়ারকে পাশে চাইছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে আরজেডি, আম আদমি পার্টির মতো অ-কংগ্রেসি বিজেপি বিরোধী দলগুলির বৈঠক ডাকলেন শরদ পাওয়ার। যার জেরে তৃতীয় ফ্রন্টের জল্পনা আরও জোরালো হল।
এদিকে কংগ্রেসকে এখনও এই বৈঠকের আমন্ত্রণ পাঠানো হয়নি। সেই বিষয়ে মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতা নানা পাটোলে বলেন, 'গণতন্ত্রে যে যা ইচ্ছে করতেই পারে। আমরা কাউকে আটকাতে পারি না। তবে কংগ্রেস ছাড়া কোনও ফ্রন্ট সম্ভব নয়।'