সদ্য় চিন প্রকাশ করেছে তাদের নয়া মানচিত্র। সেখানে অরুণাচল প্রদেশ আর আকসাই চিনকে নিজের সীমানার মধ্যে রেখেছে তারা। এরপরই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতি। উল্লেখ্য, যে মানচিত্র চিন প্রকাশ করেছে, তাতে ১৯৬২ সালে পিএলএ-র দখল করা আকসাই চিন ছাড়াও রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, যে অরুণাচল প্রদেশকে, চিন দাবি করে দক্ষিণ তিব্বত হিসাবে।
মানচিত্রে শুধু অরুণাচল প্রদেশই নেই। সঙ্গে রয়েছে, দক্ষিণ চিন সাগর। যে চিন সাগরকে বেজিং নিজের এলাকা বলে দাবি করছে। এদিকে, লাদাখে চিনের পিএলএ একটা বড় অংশ দখল করে রেখেছে বলে বহুদিন ধরে দাবি করছেন কেরলের ওয়েনাদের কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। সদ্য কর্ণাটকের উদ্দেশে তিনি রওনা হওয়ার আগে লেখেন,'আমি বছরের পর বছর ধরে বলে আসছি যে প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, লাদাখে এক ইঞ্চি জমি নষ্ট হয়নি, তা মিথ্যা। সমগ্র লাদাখ জানে যে চিন সীমা লঙ্ঘন করেছে। এই মানচিত্র সমস্যা খুবই গুরুতর। তারা জমি কেড়ে নিয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কিছু বলা উচিত ।' এদিকে, এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, চিনের ওই মানচিত্রের কোনওই গুরুত্ব নেই। প্রায়শই চিন এমন সমস্ত মানচিত্র পেশ করতে থাকে। জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘ চিন এমন কিছু ভূখণ্ড নিয়ে মানচিত্র তৈরি করেছে যেগুলো তাদের নয়। এটি তাদের একটি পুরানো অভ্যাস। শুধু ভারতের কিছু অংশের সঙ্গে মানচিত্র তৈরি করে... এতে কোনও পরিবর্তন হয় না। আমাদের সরকার আমাদের ভূখণ্ড সম্পর্কে খুব স্পষ্ট। অযৌক্তিক দাবি করে অন্যের অন্যের ভূখণ্ডকে নিজের বলা যায় না।’ প্রসঙ্গত, চিনের এহেন কর্মকাণ্ডের জন্য বহুবার ভারত এর বিরোধিতা করেছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ভারত চিনের এই মানচিত্রের বিরোধিতা করে এসেছে।
প্রসঙ্গত, সামনেই ভারতে ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আয়োজিত হতে চলেছে জি২০ সামিট। তার আগে ব্রিকস সম্মেলনে সদ্য চিন ও ভারতের রাষ্ট্রনেতাদের সম্মেলনের এক ফাঁকে আলোচনা করতে দেখা যায়। যে আলোচনার প্রসঙ্গ নিয়ে যদিও দিল্লি ও বেজিংয়ের ভিন্ন সুর শোনা যায়। সেই প্রেক্ষাপটে চিনের এই মানচিত্র পেশ করার ঘটনা একটি বড় দিক।