বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > শৃঙ্গ জয়ের পর বেস ক্যাম্পেও হানা করোনার, সংক্রমিত একাধিক পর্বতারোহী

শৃঙ্গ জয়ের পর বেস ক্যাম্পেও হানা করোনার, সংক্রমিত একাধিক পর্বতারোহী

এভারেস্ট পর্বত

নেপাল সরকার জানাচ্ছে, বেস ক্যাম্পে ৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে। যদিও বেসরকারি মতে সেই সংখ্যাটি ৩০ ছুঁয়েছে।

এভারেস্টের শৃঙ্গ আগেই ছুঁয়েছিল করোনা। এবার জাল ছড়িয়েছে বেস ক্যাম্পেও। সেখানে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এপ্রিলেই পাহাড়ের উচ্চতায় এক বিদেশী পর্বতারোহী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে সেখান থেকে উড়িয়ে বেস ক্যাম্পে আনা হয়েছিল। তার পর কাঠমান্ডুর একটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে করোনা পরীক্ষা করানো হলে, তাঁর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এখন নেপাল সরকার জানাচ্ছে, বেস ক্যাম্পে ৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে। যদিও বেসরকারি মতে সেই সংখ্যাটি ৩০ ছুঁয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে সঙ্গত কারণেই পর্বতারোহীদের এভারেস্টে ওঠার অনুমতি দেয়নি নেপাল সরকার। সেবছর বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে নেপালের পর্যটন শিল্প। সেই কারণেই এ বছর রেকর্ড সংখ্যক পর্বতারোহীদের ঢালাও অভিযানের অনুমতি দেয় তাঁরা। কিন্তু এ বারের অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক করোনা আক্রান্তের খবর আসতে শুরু করেছে। পোল্যান্ডের পর্বতারোহী পল মাইকেলস্কি একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে লিখেছেন, ‘এখনও পর্যন্ত ৩০ জনকে উদ্ধার করে কাঠমান্ডু নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তাঁদের ফুসফুসের সমস্যা ছিল। পরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে।’‌

বেস ক্যাম্প ছাড়ার পরে পর্বতারোহী রোজিতা অধিকারীর শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। তিনি জানিয়েছেন, নেপাল সরকার এখনও করোনা সংক্রমণের ঘটনা অস্বীকার করছে। বেস ক্যাম্পে অনেকের শরীরেই যে করোনা সংক্রমিত হয়েছে, তার প্রমাণ রয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এর পরেও সরকার কেন সত্যিটাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে?

বিগত কয়েকদিন ধরে অনেকটাই সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে নেপালে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৭০০ ছুঁয়েছে। তবু নেপালের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে পর্যটন শিল্পে কোনও কড়া নিয়ন্ত্রণ লাগু করেনি নেপাল সরকার। এক বছর এভারেস্ট অভিযান বন্ধ থাকায়, নেপাল সরকারকে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল। এ বারে সেই আয়ের রাস্তা খোলা রাখতে গিয়ে সংক্রমণ বাড়ছে, তাই পর্বতারোহীদের নিরাপত্তার বিষয়ে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

 

বন্ধ করুন