সরকার নিয়ন্ত্রিত উহানের গবেষণাগারে তৈরি করা হয়েছিল করোনাভাইরাস। সেই অভিযোগের পরই সাসপেন্ড হল চিনা ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ানের টুইটার অ্যাকাউন্ট।
মঙ্গলবার ‘হংকং স্কুল অফ পাবলিক হেলথ’-এর 'ভাইরোলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজি' বিশেষজ্ঞ মেং ফক্স নিউজে বলেন, ‘ওরা চায় যে মানুষ সত্যিটা না জানুক। সেজন্যই আমায় (মেংয়ের টুইটার অ্যাকাউন্ট) সাসপেন্ড করা হয়েছে। আমায় দমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমি চিনের কমিউনিস্ট পার্টির টার্গেট। আমায় গায়েব করে দিতে চায় ওরা।’
কী কারণে মেংয়ের অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হয়েছে, তা নিয়ে বুধবার টুইটার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে নিউ ইয়র্ক পোস্ট। কিন্তু টুইটারের তরফে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করা হয়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন মুলুকের একটি গোপন জায়গা থেকে ব্রিটিশ টক শো'র সাক্ষাৎকারে মেং জানিয়েছিলেন, গত ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির গোড়ার মধ্যে চিনে 'নয়া নিউমোনিয়া'-র উপর দুটি গবেষণা চালিয়েছিলেন। সেই গবেষণার ফল নিজের উর্ধ্বতন আধিকারিককে দিয়েছিলেন। যিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) পরামর্শদাতা। মেং আশা করেছিলেন, ‘চিনা সরকার এবং হু’র তরফে ঠিক কাজ করা হবে।' সেই কাজ করা তো হয়নি, উলটে তাঁকে 'চুপ থাকতে বলা হয়, নাহলে গায়েব করে দেওয়া হবে বলা হয়' বলে অভিযোগ মেংয়ের। যদিও চিনে তা খুবই স্বাভাবিক বলে দাবি করেন ভাইরোলজিস্ট।
তিনি বলেছিলেন, ‘কেউ জবাব দেননি। মানুষ সরকারকে ভয় পায় এবং সুরক্ষিত হওয়ার জন্য আরও সুযোগ-সুবিধা-সহ সরকার এবং হু’র সঙ্গে মিলিত হওয়ার অপেক্ষা করছেন তাঁরা। কিন্তু এটা অত্যন্ত জরুরি (ছিল)।'
ভাইরোলজিস্ট জানিয়েছিলেন, চিনা নববর্ষের সময় চিন থেকে সারা বিশ্বেই বিভিন্ন জিনিসপত্র পাঠানো হয়। তাই সে বিষয়ে মুখ খোলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কারণ ‘এটা (করোনাভাইরাস) অত্যন্ত সংক্রামক ও ভয়ানক ভাইরাস। আমার বক্তব্য, এটা মানুষ ও বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যের জন্য।'
তবে সত্যি সামনে আনার মাসুলও তাঁকে দিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন মেং। তিনি জানান, পুরো বিষয়টি বেশ ভয়ের। কারণ তাঁকে অনবরত হুমকি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু 'আমি জানতাম, যদি আমি বিশ্বকে সত্যিটা না বলি, তাহলে আমি অনুুতপ্ত হতাম।'
তারইমধ্যে গত সোমবার ‘জিনোট' নামের একটি ওয়েবসাইটে গবেষণাও প্রকাশ করেন 'হুইসেলব্লোয়ার' মেং। আরও দু'জন সেই গবেষণা করেছেন। সেই গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, ছ'মাসে করোনা তৈরি করা হয়েছিল।