লাগাতার তিনবার বিধানসভা চালু করার প্রস্তাব ফিরিয়েছিলেন রাজস্থানের রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র। তবে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের বৈঠকের পর গলল জল। অবশেষে ১৪ অগস্ট থেকে বিধানসভা চালু করা যাবে বলে জানালেন রাজস্থানের রাজ্যপাল। এর ফলে রাজ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের অবসান হতে চলেছে বলেই মনে করেন ওয়াকিবাহল মহল।
সচিন পাইলট সহ ১৯ কংগ্রেস বিধায়ক বিদ্রোহ করার পর রাজস্থানে যে রাজনৈতিক নাটক শুরু হয়, তার জবনিকা সম্ভবত পড়তে চলেছে অগস্টের মাঝামাঝি। কারণ দীর্ঘ টালবাহানার পর বিধানসভা ডাকতে রাজি হয়েছেন রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র। প্রথম বার তাঁকে ২৪ জুলাই চিঠি পাঠায় রাজস্থান সরকার। সেই থেকে আজ অবধি তিন বার তিনি বিধানসভা শুরু করার প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। তাঁর যুক্তি ছিল যে বিধানসভা ডাকার জন্য কম করে ২১ দিন আগে নোটিস দিতে হয়। একই সঙ্গে এই কোভিডের পরিস্থিতিতে কেন বিধানসভা ডাকা জরুরি, সেটাও রাজ্য সরকারকে ব্যাখ্যা করতে হবে বলে তিনি জানান।
এর আগে ৩১ জুলাই থেকেই বিধানসভা চালু করতে অনড় ছিল কংগ্রেস সরকার। কিন্তু এদিনের কলরাজ মিশ্রর সঙ্গে বৈঠকের পরে সেই তারিখটি পিছিয়ে ১৪ অগস্ট করতে রাজি হন অশোক গেহলট। তারপরেই মনে হচ্ছিল যে জট খুলে গেছে। গভীর রাতে রাজভবন থেকে এল সম্মতি বিধানসভার অধিবেশন চালু করার।
প্রত্যাশিত যে অধিবেশনে আস্থা ভোট নেবেন গেহলট। সেখানে হুইপ অনুসারে যদি সচিন পাইলট ও তাঁর সঙ্গীরা ভোট না দেন, তাহলে তাঁদের বিধায়কপদ খারিজ করা অত্যন্ত সোজা হবে। এই মুহূর্তে রাজস্থান হাইকোর্টের নির্দেশে বিধায়ক পদ খারিজের নোটিসের ওপর শুনানি করতে পারছেন না স্পিকার সিপি যোশী। যদিও তিনি সুপ্রিম কোর্টে বুধবার রাতে পিটিশন করেছেন এই আদেশের বিরুদ্ধে।
তবে সচিন পাইলট ও তাঁর সঙ্গীদের হাতে সময় যে আর বেশি নেই, এদিনের রাজ্যপালের অনুমতির পর তা স্পষ্ট হয়ে গেল। গেহলট শিবির আত্মবিশ্বাসী যে তাদের কাছে সংখ্যা আছে আস্থা ভোট জেতার। সেটাকে ভুল প্রমাণ করাটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বিদ্রোহী কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলটের কাছে।