উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মাঝে থাকা ১২ মাইলের মিলিটারি ডিমার্কেশন লাইনের কাছে ফের একবার চড়ল উত্তাপের পারদ। দক্ষিণ কোরিয়ার এই সীমান্তের আকাশে কিম জন উনের দেশ উত্তর কোরিয়ার ১৮০ টি বিমানকে একত্রিত হতে দেখা যায়। পাল্টা দক্ষিণ কোরিয়া ৮০ টি স্টিল্থ জেট নিয়ে তৎপর হয়। স্বভাবতই চড়তে শুরু করেছে দুই দেশে সংঘাতের পারদ।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে স্থানীয় সময় ১১ থেকে ৩ টের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৯৫৩ সালের কোরিয়ার যুদ্ধের পর সদ্য উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপ করে পরীক্ষামূলক মিসাইলগুলির মধ্যে একটি মিসাইল দক্ষিণ কোরিয়ার আওতায় থাকা জলাশয়ের কাছে গিয়ে পড়েছে। এর আগে, বুধবার ও বৃহস্পতিবার পর পর ৩০ টি মিসাইল উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, তারা আমেরিকার সঙ্গে যৌথ সেনা মহড়ায় অংশ নেওয়াতেই উত্তর কোরিয়া ক্ষোভের বশে এমনটা করছে। এদিকে, উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপে, নড়েচড়ে বসেছে ওয়াশিংটন। তারা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ মহড়ার সময়সীমা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, 'আমাদের সেনা ১৮০ টি উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধবিমানকে চিহ্নিত করেছে।' এরপরই দক্ষিণ কোরিয়া এফ ৩৫ এ যুদ্ধবিমান নিয়ে এগিয়ে যায় আকাশপথে। এদিকে, আমেরিকার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া সেনার যৌথ মহড়ার সময়কাল বর্ধিত করতেই পাল্টা উত্তর কোরিয়া আরও ৩ টি ব্যালাস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ করে। আমেরিকার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার এই পদক্ষেপকে 'ভয়ঙ্কর ও ভুল সিদ্ধান্ত' বলে ব্যাখ্যা করেছে।
এদিকে, উত্তর কোরিয়ার এই ঘটনাকে 'অবৈধ ও অস্থিরতা সৃষ্টিকারী' ঘটনা বলে ব্যাখ্য়া করেছে আমেরিকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার এই যৌথ সেনা মহড়া কিছুতেই ভালোভাবে নিচ্ছে না উত্তর কোরিয়া। ফলে পিয়ংগং যে খুব একটা ভালো মেজাজে নেই তা বলাই বাহুল্য। অনেকেই মনে করছেন যেভাবে উত্তর কোরিয়া পর পর মিসাইল উৎক্ষেপণ করছে, তাতে খুব শিগগির হতে পারে তারা নিউক্লিয়ার অস্ত্র নিয়েও হুঁশিয়ারির রাস্তায় যেতে পারে।