আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ায় সদ্য এক সভায় মার্কিন রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গুলি চালনার ঘটনায় মার্কিন প্রশাসনিক নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন ওঠে। প্রশ্ন ওঠে দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিধর দেশ আমেরিকার ‘সিক্রেট সার্ভিস’ এর ভূমিকা নিয়ে। ক্রমাগত সমালোচনায় বিদ্ধ হতে থাকেন সিক্রেট সার্ভিসের ডিরেক্টর কিম্বার্লে চিটল। এবার সিক্রেট সার্ভিসের ডিরেক্টর পদ থেকে তিনি দিলেন ইস্তফা।
বছরের শেষলগ্নে হতে চলেছে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর তার আগে সদ্য পেনসিলভেনিয়ায় এক সভায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়। সেখানে সভায় বক্তব্য রাখার সময় আচমকাই একটি গুলি ট্রাম্পের কান ঘেঁষে চলে যায়। সমর্থকরা চিৎকার করে ওঠেন। কাল বিলম্ব না করে গাড়িতে তোলা হয় ট্রাম্পকে। এতে ট্রাম্প আহত হন। আততায়ী সেখানেই নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা যায়। প্রশ্ন উঠতে থাকে, বিশ্বের তাবড় শক্তিধর দেশের নিরাপত্তা নিয়ে। এরপর সদ্য সোমবার হাউস ওভারসাইট কমিটির মুখে পড়েন মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের ডিরেক্টর কিম্বার্লে শিটল। পেনসলভেনিয়ায় ট্রাম্পের ওপর গুলি চালনা নিয়ে তাঁকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সেখানে। এরপর কিম্বার্লে সদ্য এক ইমেলে জানিয়েছেন, তিনি পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। ট্রাম্পের ওপর গুলি চালনার সম্পূর্ণ দায় কাঁধে নিয়েই তিনি পদ থেকে সরছেন বলে জানিয়েছেন।
যে ইমেল তিনি তাঁর স্টাফ ও দফতরকে করেছেন, তাতে লেখা রয়েছে, ‘ নিরাপত্তায় খামতির সম্পূর্ণ দায় নিচ্ছি।’ তিনি ইমেলে লেখেন, ‘সদ্য যা ঘটে গিয়েছে, তাতে আমি দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি ডিরেক্টর পদ থেকে সরে যাওয়ার।’ উল্লেখ্য, ২০২১ সাল থেকে কিম্বার্লি ওই পদে ছিলেন। সদ্য ১৩ জুলাই পেনসিলভেনিয়ার বাটলারে ট্রাম্পের ওপর গুলি চালনা ঘিরে বহু রিপোর্টে উঠে আসছে ইরানের যোগ ঘিরে জল্পনা। যদিও ইরান এই তত্ত্বকে সম্পূর্ণ নস্যাৎ করেছে। এছাড়াও গুলি চালনাকারী ম্যাথিউ ক্রুকসের সঙ্গে ইরানের কোনও যোগ পাওয়া যায়নি। সেই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে, এক কম বয়সী ছেলে কেন এই গুলি চালিয়েছে? জানা যায়, ট্রাম্পের ওপর গুলি চালানো হতে পারে, এমন খবর আগাম ছিল সিক্রেট সার্ভিসের ওপর। সেকথা ট্রাম্পের প্রচার টিমকেও জানানো হয়েছিল, বলে দাবি করছে বেশ কিছু রিপোর্ট। কিন্তু তারপরও কেন পরিস্থিতি এড়ানো যায়নি? এমনই নানান প্রশ্নের মাঝে এল কিম্বার্লির পদত্যাগের খবর।