বেশি আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে কি উলটে রক্ষণ ফাঁকা রেখে দিলেন ইলন মাস্ক? টেসলার সিইওয়ের ‘চরমবার্তার’ পর (একাধিক রিপোর্টে সেই দাবি করা হয়েছে) যেভাবে টুইটারের কর্মচারীরা গণ-ইস্তফার ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে অনেকেই সেটাই মনে করছেন। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, শয়ে-শয়ে টুইটার কর্মচারী ইস্তফা দিতে মুখিয়ে আছেন।
একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি ইলন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে ‘দীর্ঘক্ষণ ধরে দারুণভাবে’ কাজ করতে হবে অথবা কাজ ছাড়তে হবে। তাতেই চটেছেন টুইটারের কর্মচারীরা। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্লাইড নামে একটি অ্যাপের ভোটাভুটিতে ১৮০ জন মতপ্রকাশ করেন। যে অ্যাপ অফিসের মেল আইডির মাধ্যমে কর্মচারীদের মতামত গ্রহণ করে। নাম গোপন রেখে নিজেদের মনের কথা জানানোর সুযোগ করে দেয় ওই অ্যাপ।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই অ্যাপের ভোটাভুটিতে ৪২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী ‘ইস্তফার পথে হাঁটছি, আমি ফাঁকা আছি’ (অর্থাৎ চাকরির সন্ধানে আছেন) বিকল্প বেছে নিয়েছেন। ১৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মধ্যপন্থা বেছে নিয়েছেন। মাত্র সাত শতাংশ অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন যে টুইটারে কাজ চালিয়ে যেতে চান ('হ্যাঁ'তে ক্লিক করুন, আমি হার্ডকোর' বেছে নিয়েছেন)।
টুইটারের এক বর্তমান কর্মচারী এবং সদ্য মাইক্রোব্লগিং সাইটের সংস্থা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া কর্মীকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, কয়েকজন শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন ইলন। তাঁরা যাতে চাকরি ছেড়ে না দেন, সেই আর্জি জানিয়েছেন টেসলার কর্ণধার এবং টুইটারের মালিক। তবে তাতে কতটা কাজ হবে, তা নিয়ে ধন্দ প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট মহল।
আরও পড়ুন: Twitter Layoffs: কয়েকশো কর্মীকে ছাঁটাইয়ের নির্দেশ, অফিসেই বমি Twitter-র ম্যানেজারের: রিপোর্ট
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঠিক কতজন কর্মচারী টুইটারে চাকরি করে যেতে চান, সেটা স্পষ্ট নয়। তবে যে পরিসংখ্যান উঠে এসেছে, তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট, যেভাবে টুইটার হাতে পাওয়ার পরই মুড়ি-মুড়কির মতো ছাঁটাই করেছে ইলন, তা একেবারেই ভালোভাবে নিচ্ছেন না টুইটারের কর্মচারীরা। সেইসঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কঠোরভাবে কাজ করার যে ফরমান জারি করা হয়েছে, তাতে টুইটারে কাজের ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেছেন অনেক কর্মচারী।
আরও পড়ুন: Elon Musk on twitter: মুড়ি-মুড়কির মতো ছাঁটাই করে টুইটার চালাতে 'নেতা'-র খোঁজে ইলন মাস্ক
সংবাদসংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইলনের 'চরমবার্তার' পর ইঞ্জিনিয়ার-সহ টুইটারের কর্মচারীরা ইস্তফা দিচ্ছেন। অনেকেই টুইটারেই জানিয়ে দিয়েছেন, মাইক্রোব্লগিং সাইট থেকে কাজ ছাড়ছেন তাঁরা। অনেকে তো 'ধন্যবাদ টুইটার' বার্তা দিচ্ছেন। যা ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের আগে টুইটারের কাছে জোরদার ধাক্কা হতে পারে। যে প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে আগামী রবিবার (২০ নভেম্বর) থেকে। তবে বিষয়টি নিয়ে অবশ্য টুইটারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।