তালিবানের হাত ধরে বামিয়ানের অসামান্য শিল্প কীর্তি আফগানিস্তানের বুকে এখন 'ইতিহাস'! এবার সেই আফগান মুলুকের আরও একটি শিল্পকীর্তি কার্যত ভেঙে পড়ার দোরগোড়ায়। আফগানিস্তানে ইসলামি স্থাপত্য শিল্পের অন্য়তম নিদর্শন এক ৮০০ বছরের পুরনো মিনার কার্যত ভেঙে পড়ার দিকে যাচ্ছে। এই ঘটনায় অবশ্য তালিবানি কোনও সন্ত্রাসের অভিযোগ নেই। বরং অভিযোগ, এলাকায় পর পর ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের বিরুদ্ধে!
ইতিমধ্যেই এই মিনার পর পর দুটি ভূমিকম্পে খানিকটা ক্ষতির মুখে পড়েছে। আফগানিস্তানের সেন্ট্রাল প্রভিন্স ঘোর এলাকার এই মিনার ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ট্যাগ পেয়েছে। তবে এই মিনারের রক্ষণাবেক্ষণ সেভাবে হয়না। এলাকার এক আধিকারিক আবদুল হাই জইম জানিয়েছেন, ২১৩ ফুটের এই মিনারের রক্ষণাবেক্ষণ সেভাবে হয়না। তিনি বলছেন, বহু ইঁট ইতিমধ্যেই মিনার থেকে বেরিয়ে এসেছে। ফলে এই মিনারের একটি দিন ঝুঁকে গিয়েছে। আবদুল হাই জইম বলছেন, 'যদি সঠিকভাবে নজর না দেওয়া হয়, তাহলে এই মিনার ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।' উল্লেখ্য, মানবজাতি নিজের তৈরি বহু মহামূল্যবান স্থাপত্য বহু সময়ই যুদ্ধ সংঘাতে শেষ করে দিয়েছে। যেগুলি 'কাল' পার করে নিজেকে টিকিয়ে রেখেছে তাদের উপর খাড়া ঝুলেছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের। আর তেমনই এক পরিস্থিতির মুখে এই ৮০০ বছরের পুরনো ইমারত।
এদিকে, এমন এক স্থাপত্যের ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে ইউনেসকোর তরফে বলা হয়েছে, 'যদিও কয়েকদিন আগেই সেখানে ভূমিকম্প ঘটে গিয়েছে, তবে এখনও এমন কোনও প্রমাণ নেই যে ওই ইমারত ভঙ্গুর হয়ে গিয়েছে।' যদিও স্থানীয়দের দাবি রক্ষণাবেক্ষণ না হলে, কিছুতেই রক্ষা করা যাবে না এই ইসলামি স্থাপত্যকে। উল্লেখ্য, বহু ভূতত্ত্ববিদের দাবি, আফগানিস্তানের প্রান্তিক এলাকায় রয়েছে এই মিনার। সেখানে যেতে চাইলেও যাওয়া সহজ ন, কারণ এলাকা তালিবানের আঁতুরঘর। ফলে সেখানে পৌঁছতে গেলে নিরাপত্তা একটি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।