বৃহস্পতিবার লখনউতে প্রতিবাদে মারা গিয়েছিলেন একজন। তারপর আরও নিরাপত্তা কড়া করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। কিন্তু তারপরও ঠেকানো গেল না হিংসা। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন শহর থেকে আসছে হিংসাত্মক বিক্ষোভের খবর। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কানপুরে, যেখানে পুলিশের গুলিতে আহত অন্তত নয়। তারা লালা লাজপত রাই হসপিটালে ভর্তি। সূত্রের খবর, তিনজনের বুকে গুলি লেগেছে এবং তাদের পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। কম করে বারোজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
পুলিশের অবশ্য দাবি যে তারা গুলি চালায়নি। অতিরিক্ত ডিজিপি কানপুর জোনের প্রেম প্রকাশ বলেছেন যে পুলিশ গুলি ব্যবহার করেনি। কোথাও প্লাস্টিক পেলেট ব্যবহার করেছে, যাতে তেমন কোনও আঘাত লাগে না।
কানপুর ছাড়াও উত্তেজনা রয়েছে গোরখপুর, সাহারানপুর, মুজাফ্ফারনগর, হাপুর, শামলি, প্রয়াগরাজ, বুলন্দশহর, মিরাট, ফিরোজাবাদ, বারাণসী, ফারুখাবাদ, বিজনোর, ভাডোই ও হামিরপুরে।
কানপুরেরর বাবুপূর্বা এলাকায় আহত হয়েছেন বারো। শুক্রবারের প্রার্থনার পর অশান্ত কানপুরে ১৪৪ ধারা অমান্য করে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। হালিম মুসলিম কলেজ থেকে ফুলবাগের উদ্দেশে লম্বা মিছিল বেরোয়। যাতিমখানায় গিয়ে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। কাজি আলাম রাজা নুরি জনতাকে শান্ত করার পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রায় একই চিত্র রাজ্যের অন্য এলাকা থেকেও। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন যে হিংসাত্মক বিক্ষোভকারীদের ওপর তিনি বদলা নেবেন। কিন্তু তার পরেও বাগে এল না প্রতিবাদীরা।