দেশে ক্রমেই বাড়ছে ব্ল্যার ফাঙ্গাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এই আবহে একাধিক রাজ্যে এই রোগকে মহামারী বলে ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোধক ওষুধ অ্য়াম্ফোটেরিসিন-বি ইনজেকশনের অতিরিক্ত ২৯ হাজার ২৫০ টি ভায়াল দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের এই ওষুধ বেশি নেই।
তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিভিন্ন দেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, যেখান থেকে পারবেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ জোগাড় করুন। প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশ অনুযায়ী এবার মার্কিন সংস্থা থেকে অ্য়াম্ফোটেরিসিন-বি ইনজেকশনের ১ মিলিয়ন ডোজ আমদানি করতে চলেছে ভারত। ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ ২১ হাজার ডোজ ভারতে পৌঁছেছে। আরও ৮৫ হাজার ডোজ আসতে চলেছে খুব শীঘ্রই।
গত ২০ মে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে আবেদন করা হয়, যাতে তারা মিউকোরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে ১৮৯৭ সালের মহামারী আইনের আওতায় এনে তাকে স্বতন্ত্র অসুখ হিসাবে চিহ্নিত করে। এছাড়া, গোটা দেশের সর্বত্রই, প্রত্যেকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে কেন্দ্র নির্দেশ দিয়েছে, যাঁর এই রোগে আক্রান্ত হবেন, বা যাঁদের শরীরে এই রোগের উপসর্গ থাকবে, তাঁদের সকলকে চিহ্নিত করে সেই তথ্য নয়াদিল্লিতে পাঠাতে হবে৷ গোটা প্রক্রিয়াটিকেই কেন্দ্রীভূত ব্যধি নজরদারি প্রকল্পর আওতায় এনেছে তারা।
সরকারের তরফে দেওয়া সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখনও পর্যন্ত ১১ হাজার ৭১৭ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন৷ সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন গুজরাত, মহারাষ্ট্র ও অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষ। মহারাষ্ট্রে ২ হাজার ৭৭০ জন, গুজরাতে ২ হাজার ৮৫৯ জন এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ৭৬৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
বিশেষ করে করোনা রোগীদের মধ্যেও ব্ল্যাক ফাংগাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেই কারণে আগেই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে এই রোগকে মহামারী বলে ঘোষণা করেছে। তাছাড়া এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সব রাজ্যের কাছ থেকে চেয়েছে কেন্দ্র।