'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'-র নির্মাতাদের বিশেষ আর্জি জানিয়ে শিরোনামে এসেছিলেন। এবার সরাসরি এআইএমআইএম প্রধান তথা হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসিকে আক্রমণ শানালেন মধ্যপ্রদেশের আইএএস আধিকারিক নিয়াজ খান। বলেন, ‘আরব আমাদের মডেল নয়, ভারত হল আমাদের মডেল।’
গত রবিবার টুইটারে হায়দরাবাদের সাংসদকে খোঁচা দিয়ে মধ্যপ্রদেশের পূর্ত দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি বলেন, '(দ্য কাশ্মীর ফাইলস সংক্রান্ত বিতর্ক) বিষয়টি নিয়ে ওয়াইসি'জি চুপ করে আছেন। শুধুমাত্র ভোটের সময় নয়, দয়া করে (সবসময়) মানবিক বিষয় নিয়ে কথা বলুন। হিন্দু ভাইদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের একটা শক্তিশালী দেশ গড়ে তুলতে হবে। আরব আমাদের মডেল নয়, ভারত হল আমাদের মডেল। এটা আমাদের মাতৃভূমি।'

সম্প্রতি 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' নিয়ে একাধিক টুইট করেছেন নিয়াজ। গত শুক্রবার বলেনছেন, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলসে ব্রাহ্মণদের বেদনা তুলে ধরা হয়েছে। সম্মানের সঙ্গে তাঁদের সুরক্ষিতভাবে কাশ্মীরে থাকতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত। প্রয়োজকদের অবশ্যই বিভিন্ন রাজ্যের বড় সংখ্যক মুসলিমদের হত্যার বিষয়টি তুলে ধরা উচিত। মুসলিমরা পতঙ্গ নন, বরং এই দেশের নাগরিক।’ সঙ্গে বছর ৫০-র আইএএস আধিকারিক বলেছেন, 'বিভিন্ন সময় মুসলিমদের গণহত্যা নিয়ে একটি বই লেখার কথা ভাবছি। যাতে কাশ্মীর ফাইলসের মতো একটি সিনেমা তৈরি করা যেতে পারে। যে সিনেমার প্রয়োজনার দায়িত্ব থাকবেন কেউ। যাতে ভারতীয়দের সামনে সংখ্যালঘুদের দুঃখ, কষ্ট নিয়ে আসা যায়।'
উল্লেখ্য, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ মুক্তি পেয়েছে। যে সিনেমায় নয়ের দশকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। তারপর থেকে ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। একাংশের দাবি, রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য সেই সিনেমা তৈরি করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেছেন, ‘নির্মাতাদের থেকে শুধু জানতে চাই, এটা ডকুমেন্টারি নাকি বাণিজ্যিক সিনেমা? যদি এটা ডকুমেন্টারি হয়, তাহলে মেনে নেব, যা দেখিয়েছেন, সেটা সত্যি। কিন্তু নির্মাতারাও বলেন যে এটা সত্যের ভিত্তিতে তৈরি। ডকুমেন্টারি নয়। তাতে বিভিন্নরকম মিথ্যা তুলে ধরা হয়েছে।’
যদিও ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-র সমালোচকদের তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। গত মঙ্গলবার বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে মোদী বলেন, 'এখন আপনারা দেখেছেন যে দ্য কাশ্মীর ফাইলস নিয়ে আলোচনা চলছে। যে লোকেরা সবসময় বাকস্বাধীনতার ঝাণ্ডা নিয়ে ঘোরেন, সেই গ্যাং গত পাঁচ-ছ'দিনে কেঁপে গিয়েছে। তথ্য, শিল্পের ভিত্তিতে পর্যালোচনা করার পরিবর্তে সেই সিনেমাকে অস্বীকার জন্য প্রচার চলছে। পুরো একটা মহলের তরফে সেই কাজটা করা হচ্ছে। কেউ যদি সত্য ঘটনা নিয়ে সিনেমা বানান....তাঁর যেটা সত্যি মনে হয়েছে, সেটা উনি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। সেই সত্যি স্বীকার করতে চাইছে না, বাকি দুনিয়া সেই সত্যের মুখোমুখি হোক, সেটাও চায় না।'