প্রথমে টুইটার থেকে সরানো হয়েছিল রাহুল গান্ধীর পোস্ট। পরে তাঁকে ব্লকও করা হয়েছিল টুইটার থেকে। সেই সংক্রান্ত বিতর্ক থামতেই এবার নয়া বিতর্কে জড়ালেন রাহুল গান্ধী। জানা গিয়েছে, শুক্রবার তাঁর ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম পোস্ট সরাল সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলি। সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়েবসাইটের নীতি লঙ্ঘন করাতেই নাক রাহুলের পোস্ট সরানো হয়েছিল।
জানা গিয়েছে এর আগে ফেসবুকের তরফে রাহুল গান্ধীকে অনুরোধ করা হয়েছিল যাতে তিনি নয় বছরের দলিত নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা নিয়ে করা তাঁর পোস্টটি মুছে দেন। রাহুলকে লেখা এক চিঠিতে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের তরফে লেখা হয়, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপলোড করা একটি পোস্ট ভারতীয় দণ্ডবিধির জুভেনাইল জাস্টিস আইনটি ভঙ্গ করেছে। তাই দ্রুত তা সরিয়ে ফেলার আবেদন রাখা হয়। ইতিমধ্যেই ফেসবুক রাহুল গান্ধী এবং শিশু সুরক্ষা কমিশনকে পোস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দিল্লিতে নয় বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল গান্ধী। পরে সেই ছবি ও ভিডিয়ো টুইটারে পোস্ট করেন। কংগ্রেস নেতারাও অনেকে ওই ছবি ও ভিডিয়ো পোস্ট করেন। কিন্তু, এটা সম্পূর্ণ আইন বিরুদ্ধ। কারণ ধর্ষণের শিকার কোনও নির্যাতিতার ছবি বা পরিচয় কিংবা তাঁর বাবা-মায়ের ছবি ও পরিচয় সামনে আনা যায় না। এই নিয়ে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন টুইটারের কাছে অভিযোগ জানায়। তারপরই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হয়। এমনকী, কংগ্রেসের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টও ব্লক করে দেওয়া হয়। এরপর টুইটারকে পক্ষপাতদুষ্ট একটি প্ল্যাটফর্ম বলে দাবি করেছিলেন রাহুল। পরে অবশ্য তাঁর অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়। তারপর তাঁর আরও এক পোস্ট সরাল ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ।