জোম্যাটোর পর এবার সুইগি। কর্মী সংকোচনের পথে গেল এই জনপ্রিয় ফুড অ্যাপটি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ১১০০ জনকে ছাঁটাই করা হবে বলে জানিয়েছে সুইগি। লকডাউনের জেরে চাহিদা মারাত্মক কমে গিয়েছে, বলে জানিয়েছে সংস্থা। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।
সুইগির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও শ্রীহর্ষ মাজেটি জানিয়েছেন যে এদিনটি তাদের কাছে খুবই দুঃখের কারণে ডাউনসাইজ করতে হচ্ছে ব্যবসা। ফলে কাজ হারাবেন ১১০০জন কর্মী। দেশের বিভিন্ন শহর, হেড অফিস ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মীদের মধ্যেই এই ছাঁটাই হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা।
মাজেটি নিজের চিঠিতে বলেন যে ভবিষ্যতে হয়তো করোনার জেরে ডিজিটাল বাণিজ্য ও ডেলিভারি ব্যবসা কিছুটা লাভবান হবে, কিন্তু বর্তমান যে অনিশ্চিয়তার পরিস্থিতি কতদিন থাকবে, সেটা কেউ জানে না। তাই এই কঠিন পরিস্থিতিতে সুইগিকে প্রস্তুত থাকতে হবে যখন ভালো সময় আসবে, তখন আরও শক্তিশালী ভাবে উদয় হওয়ার জন্য।
বেশ কিছু ব্যবসা থেকে সুইগি নিজেদের সরিয়ে নেবে বা কর্মকাণ্ডে কাঁটছাঁট করবে, যেখানে আগামী ১৮ মাসে তেমন কোনও লেনদেনের সম্ভাবনা নেই। সবচেয়ে এতে ধাক্কা খাবে ক্লাউড কিচেনগুলি, বলে জানিয়েছেন সংস্থার সিইও। অধিকাংশ কিচেন স্থায়ী বা অস্থায়ী ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
অনেক কম অর্ডার আসবে, তার মধ্যেও লাভ করতে খরচ কমাতে হবে, বলেন সুইগির সিইও। কোভিডের অনিশ্চিয়তার জন্য আরও ক্ষতি হতে পারে, তাই এখন থেকেই খরচ কমানোর পথে হাঁটছে এই ফুড অর্ডার অ্যাপ। সুইগির প্রতিদ্বন্দ্বী জোম্যাটো গত সপ্তাহে ৫২০জনকে ছাঁটাই করেছে।
কোভিডের জন্য অধিকাংশ লোক বাড়িতে। তাই চাহিদা কমেছে অর্ডারের। একই সঙ্গে সংক্রমণের ভয় অনেকে অর্ডার দিচ্ছেন না। অনেক রেস্তোঁরা বন্ধ। তাতেও মার খাচ্ছে ব্যবসার। সব মিলিয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে এই অ্যাপগুলি। যার ফলশ্রুতি বড় সংখ্যক মানুষের চাকরি হারানো।