দুটি ‘অযাচিত’ টুইটের জেরে সামনে আদালত অবমাননার খাঁড়া ঝুলছিল। তবে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংয়ের বিরুদ্ধে সেই মামলা শুরুর অনুমতি দিলেন না অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে ভেনুগোপাল।
বিশেষ সুরক্ষা বাহিনী আইন, ২০২০ প্রণয়নের জন্য একটি টুইটে উত্তরপ্রদেশ সরকারের সমালোচনা করেছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ। অপর টুইটে সন্দেহ প্রকাশ করে মন্তব্য করেছিলেন যে কোনও আদালত কি সেই আইন বাতিল করতে পারবে কিনা। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা টুইটারে বলেছিলেন, ‘ভারতীয় সংবিধান কি এরকম আইনকে অনুমোদন দেয়? দেশের বিচারব্যবস্থা কি এরকম একটি আইনকে সংবিধানবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করবে? নাকি চাপের মুখে তা (আদালত) সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেবে? অপেক্ষা করে দেখা যাক কী হয়।’
সেই মন্তব্যের জন্য দিগ্বিজয়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা শুরুর অনুমতি চেয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে আর্জি জানান আইনজীবী সুমন্ত সুদান। তিনি দাবি করেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে দেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে সাধারণ মানুষের আস্থা টলিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।
সুদানের আর্জির প্রেক্ষিতে অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, টুইটগুলি যে ‘অযাচিত’ ছিল, সে বিষয়ে একমত তিনি। তবে আদালত অবমাননার শুরুর মতো তাতে কোনও ভিত্তি নেই। চিঠিতে তিনি বলেন, 'টুইটগুলি ভালোভাবে বিবেচনা করে দেখেছি। সেই মন্তব্যগুলি অযাচিত। আমার মতে, ভারতের সুপ্রিম কোর্টের অবমাননার দায়ে ফৌজদারি মামলা শুরুর পদক্ষেপের মতো যোগ্যতা নেই।'
সেই বিশেষ সুরক্ষা বাহিনী আইনের একাধিক ধারা নিয়ে প্রথম থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। আইনের ১০ নম্বর ধারার আওতায় জেনেবুঝে কোনও অপরাধের জন্য কাউকে যদি সন্দেহ করা হয় বা কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে যে ওই ব্যক্তি ওরকম কোনও অপরাধের জন্য কোনও পদক্ষেপ করছে, তাহলে তাঁকে কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেফতার করতে পারবে বিশেষ সুরক্ষা বাহিনী। ১১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়াই সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার এবং তাঁর সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করতে পারবে বিশেষ সুরক্ষা বাহিনী।
উল্লেখ্য আদালত অবমাননা আইনের ১৫ নম্বর ধারা এবং সুপ্রিম কোর্টের অবমাননার দায়ে মামলা শুরুর নিয়মের তিন নম্বর বিধান অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি বা মহিলার দায়ের করা ফৌজদারি অবমাননার আর্জি সুপ্রিম কোর্ট শোনার আগে অ্যাটর্নি জেনারেল বা সলিসিটর জেনারেলের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।