প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় উত্তাল হয়ে উঠল চট্টগ্রাম।চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন ৪ জন। পুলিশ সূত্রের খবর, মিছিলকারীরা হাটহাজারী থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।ওই সময় পুলিশের গুলিতে বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতরা হলেন, কুমিল্লার মহম্মদ রবিউল ইসলাম, মাদারীপুরের মহম্মদ মেহরাজুল ইসলাম, ময়মনসিংহের মহম্মদ আবদুল্লা মিজান এবং হাটহাজারির মহম্মদ জসিম। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, হাটহাজারিতে গুলিবিদ্ধ ৮-৯ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘নিহত ৪ জনের মধ্যে ৩ জন মাদ্রাসা ছাত্র এবং ১ জন দরজি বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। ২৬ নম্বর অর্থোপেডিক সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আহতরা। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে হাটহাজারি দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে হঠাৎ হাটহাজারি থানা, ভূমি অফিস, ডাকবাংলো-সহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালান বেশ কয়েকজন।তখন পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ গুলি ছুঁড়লে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।রফিকুল ইসলাম নামে এক পুলিশ অফিসার জানান, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়।আরেক পুলিশ অফিসার মহম্মদ আলাউদ্দিন জানান, ৮ জন গুরুতর আহত হন। তারমধ্যে ৪ জন মারা যান।
এদিকে এই ঘটনার পর নেতাকর্মীরা মাদ্রাসার সামনে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে রাখে। হাটহাজারিতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারি সার্কেল) শাহাদাত হোসেন বলেন, “হঠাৎ থানায় হামলা করা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি।" উল্লেখ্য, দুদিনের সফরে এদিন বাংলাদেশে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।