সামরিক বাহিনীতে অগ্নিপথ নিয়োগ প্রকল্পের ঘোষণা হতেই ভারত জুড়ে বিরোধী দল এবং যুব সমাজের একাংশ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। সেই হিংসাত্মক প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও সোমবার পর্যন্ত ভারতীয় বিমান বাহিনীতে অগ্নিবীর হওয়ার জন্য ৫৬,৯৬০ জন্য আবেদন করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
এই আবেদনের সংখ্যা জানিয়ে বায়ুসেনার তরফে একটি টুইট করে লেখা হয়, ‘৫৬৯৬০! এটি হল agnipathvayu.cdac.in-এ অগ্নিপথ প্রকল্পে অগ্নিবীর হওয়া মোট আবেদনের সংখ্যা’। উল্লেখ্য, গত ২৪ জুন ভারতীয় বায়ুসেনাতে অগ্নিপথ প্রকল্পের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। তিনদিনের মধ্যে আবেদনের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেল। এদিকে কংগ্রেস সোমবার কেন্দ্রের নতুন ‘স্বৈরাচারী’ নিয়োগ প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে দেশব্যাপী বিক্ষোভ করে। এর আগেও দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলেছে অগ্নিপথ নিয়োগ প্রকল্পের বিরোধিতায়। হিংসাত্মক রূপ নিয়েছে প্রতিবাদ। বিহার, উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে রক্ত ঝরেছে, জ্বলেছে আগুন। তবে তিন বাহিনীর তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, এই প্রকল্প প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
বায়ু সেনায় এই প্রকল্পের আওতায় নিযুক্ত জওয়ানদের 'ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স অ্যাক্ট ১৯৫০' অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে হবে। ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ, স্টার পরীক্ষা সহ অন্যান্য প্রথাগত এবং আনুধিক উপায়ে অগ্নিবীরদের নিয়োগ করা হবে। অগ্নিবীরদের জন্য পৃথক ব়্যাঙ্ক থাকবে। অগ্নিবীররা নিজেদের ইউনিফর্মে পৃথক চিহ্ন থাকবে। তাঁদের সামরিক সম্মান ও পুরষ্কারের জন্য বিবেচনা করা হবে। এদিকে বছরে অগ্নিবীরদের ৩০টি ছুটি দেওয়া হবে। তাছাড়া 'সিক লিভ' দেওয়া হবে।
চারবছর পর অগ্নিপীররা নিজেদের নাগরিক জীবনে ফিরে যাবেন। এর আগে যদি কেউ চাকরি ছেড়ে যেতে চান চাহলেও সংশ্লিষ্ট অগ্নিবীরকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে 'ব্যতিক্রমী' ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অগ্নিবীরকে নাও ছাড়া হতে পারে। কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হলে প্রায় এক কোটি টাকা পাবে অগ্নিবীরদের পরিবার। কর্মরত অবস্থায় চাকরিতে অক্ষম হয়ে পড়লে ৪৪ লাখ টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। সঙ্গে চাকরির বাকি সময় কালের সম্পূর্ণ বেতন ও তহবিলের প্যাকেজ পাবেন। ‘অগ্নিবীর কর্পস তহবিল’ গড়া হবে। প্রত্যেক অগ্নিবীরের মাসিক ৩০ শতাংশ আয় ওই তহবিলে জমা পড়বে। প্রভিডেন্ট ফান্ডের সমতুল্য সুদের হার দেবে সরকার।