অগ্নিপথ প্রকল্পের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে একগুচ্ছ আবেদন দায়ের হয়েছিল। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ১৫ জুলাই শীর্ষ আদালতে শুনানি হতে চলেছে অগ্নিপথ নিয়ে। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এএস বোপান্নার এজলাসে এই মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে সুপ্রিম কোর্টে দুই মামলাকারী মামলার আবেদন জমা দিয়ে দাবি জানায়, অগ্নিপথ প্রকল্প যাতে পুনর্বিবেচনা করা হয়। প্রকল্পের বিরুদ্ধে ওই দুই মামলা দায়ের করেন আইনজীবী এমএল শর্মা ও বিশাল তিওয়ারি। আবেদনে মামলাকারী চলমান হিংসাত্মক বিক্ষোভেরও উল্লেখ করেন। এর প্রেক্ষিতে ক্যাভিয়েটও দাখিল করে কেন্দ্র।
মামকারীর দাবি, প্রকল্প খতিয়ে দেখার জন্য সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হোক। পাশাপাশি হিংসাত্মক বিক্ষোভের জেরে যে সব সরকারি সম্পত্তির কত ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করার আর্জি জানানো হয়েছে। এর আগে তিন বাহিনীর প্রধান যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন। সেই সময় বলা হয়েছিল, যে 'অগ্নিবীর'-দের নিয়োগ করা হবে, তাঁদের মধ্যে সর্বাধিক ২৫ শতাংশ প্রার্থী বাহিনীতে থাকবেন। বাকিদের সেবা নিধি প্যাকেজ হাতে ধরিয়ে সেনা থেকে বিদায় জানানো হবে। এরপরই সেনার উপর আক্রোশ দেখায় পড়ুয়ারা।
প্রসঙ্গত, ঘোষণার পর থেকেই অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয় দেশজুড়ে। সেনায় যোগ দিতে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের প্রতিবাদ হিংসাত্মক আকার ধারণ করে। এই আবহে সরকারের তরফে একাধিক পদক্ষেপের কথা বলা হলেও প্রতিবাদের আগুন জ্বলতে থাকে। এই আবহে কঠোর পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় সরকারের তরফে। তবে পরবর্তীতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে বিক্ষোভ শেষ হয়ে যায়।